You dont have javascript enabled! Please enable it!

নীলফামারির বেশ কয়েকটি অঞ্চল এখন মুক্তিফৌজের দখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ধুপগুড়ি, ২৫ অক্টোবর-সীমান্তের ওপার থেকে বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া খবরে জানা যায়, উত্তর খণ্ডে মুক্তিফৌজ বাহিনী তাদের আক্রমণকে আরও জোরদার করেছে। মুক্তিবাহিনী বেশ সাফল্যের সঙ্গে একের পর এক গ্রাম দখল করে চলেছে।

নীলফামারি শহরের বেশ কয়েকটি পাক অধিকৃত অঞ্চল মুক্তিফৌজ বাহিনীর দখলে এসেছে। এই সব অঞ্চল দখল করতে গিয়ে মুক্তি বাহিনীকে প্রচণ্ড সংঘর্ষের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু তাদের আক্রমণের গতি এত তীব্র ছিল যে, পাক বাহিনীকে সৈয়দপুর পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচাতে হয়েছে। এই সংঘর্ষে মােট ৭০ জন পাক সেনা খতম হয়। রংপুর থানা অঞ্চলের প্রায় ৪০ বর্গমাইল এলাকা এখন মুক্তিবাহিনীর দখলে।গেরিলারা পাক জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে কৃষ্ণনগর, ২৫ অক্টোবর-পাক সরকার যে নতুন জাহাজটি পেয়েছিল, গত সপ্তাহে মুক্তিবাহিনী সেটি ডুবিয়ে দেয়।

সীমান্তের ওপার থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, ওই জাহাজটি বেশ কিছু অত্যাবশ্যকীয় মালপত্র নিয়ে বরিশাল থেকে খুলনায় যাচ্ছিল। মুক্তি বাহিনীর গেরিলারা গত ২১ অক্টোবরে দিনাজপুরে জেলার অমরখানা এবং জগদলহাটের মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সেতুটি ধ্বংস করে দিয়েছে। ওই দিনই চিন্তামনে গেরিলারা মরটার চালিয়ে তিনজন পাক সেনা খতম করে ।

ঢাকা-ময়মনসিংহ লাইনে গেরিলারা একটি রেলওয়ে ট্রাক উড়িয়ে দেয়। ঘটনাটি ঘটে গত ১৮ অক্টোবর। এর আগের দিন তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ টেলি যােগাযােগ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। গত ২১ অক্টোবর দেওয়ানগঞ্জে বেশ কিছু রাজাকার মুক্তি বাহিনীর কাছে আত্মসম্পূর্ণ করে ।

পি টি আই, ইউ এন আই। ২৬ অক্টোবর ‘৭১

Reference: ২৬ অক্টোবর  ১৯৭১, দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!