চট্টগ্রাম বন্দরে বঙ্গবন্ধুর আকস্মিক ঝটিকা সফর
চট্টগ্রাম। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আকস্মিক ঝটিকা সফরে আগমন করেন এবং আমদানি রপ্তানির সুবিধার্থে চট্টগ্রাম বন্দরে স্থূপীকৃত মাল খালাস ত্বরান্বিত করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধু নিম্নচাপ পরিস্থিতিজনিত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সত্ত্বেও এ ঝটিকা সফরে বের হন। বিমানবন্দর থেকে বঙ্গবন্ধু পাের্ট ট্রাস্ট অফিসে আসেন। পাের্ট ট্রাস্ট অফিসে তিনি এক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে যােগদান করেন। এছাড়া গত। মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ‘ওয়াপদা’ ‘সি অ্যান্ড বি’ প্রভৃতি সরকারি সংস্থার আমদানিকৃত পণ্যের একটি তালিকা প্রণয়নের জন্যেও তিনি বন্দরের উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরে চোরাচালান বন্ধ ও অবৈধ পথে বিদেশি মাল আনয়নের ওপর তীব্র নজর রাখার জন্যও সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশ দেন। সম্মেলনে যােগাযােগমন্ত্রী জনাব মনসুর আলী, তথ্য ও বেতার দফতরের মন্ত্রী জনাব তাহের উদ্দিন ঠাকুর, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ টিমের প্রধান ড. আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান ক্যাপ্টেন মােশারফ হােসেন, চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল সফিউল্লাহ, পাের্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জনাব গােলাম কিবরিয়া ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন সমস্যাদি সম্পর্কে আলােচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী চোরাচালানকৃত বিভিন্ন মালের স্তুপ দেখতে পান। এসব মাল বন্দরে শুল্ক দফতর উদ্ধার করেছে। আকস্মিক ঝটিকা সফরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন যােগাযােগ মন্ত্রী জনাব মনসুর আলী এবং তথ্যদফতরের প্রতিমন্ত্রী জনাব তাহের উদ্দিন ঠাকুর। তারা সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে দুপুরের কিছু আগে এসে পৌঁছেন। বঙ্গবন্ধু বন্দরের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে ঘুরে নিজের চোখে সব কাজকর্ম দেখেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, বন্দরের কাজকর্ম মন্থর গতিতে চলছে এবং অনেকটা শৈথিল্য দেখা দিয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রী এ সফরে আসেন২১।
রেফারেন্স: ৮ ডিসেম্বর ১৯৭৩, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ