৩০ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ মিরপুর মুক্ত করার অপারেশন
১৯ জানুয়ারী থেকে ২৬ জানুয়ারী পর্যন্ত পুলিশ একক ভাবে মিরপুরে অস্র উদ্ধার অভিযানে নামে তবে তারা ধারনার চাইতে খুব কম অস্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা যায় মিরপুরের উত্তর পশ্চিমের এলাকাগুলির বিশাল অংশই অস্র জমা দেয়নি। ফলে পুলিশের সাহায্যে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন দেখা দেয়। কর্নেল ওসমানীর নির্দেশে কোন প্রকার প্রস্তুতি ছাড়াই মিরপুর মুক্ত করার কর্মসূচী নেয়া হয়। মিরপুর মুক্ত করার জন্য এদিন ২য় বেঙ্গলের একটি কোম্পানি ক্যাপ্টেন হেলাল মোরশেদের নেতৃত্ব পুলিশের সাথে যৌথভাবে এ কাজ শুরু করে। তাদের সাথে ভারতীয় একটি কোম্পানিও দেয়া হয়েছিল। অপারেশনের আগে সেখানে অবস্থান নেয়া বিহারী ও পাকিস্তানী সমন্বয়ে গঠিত বাহিনিকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু উল্টো তারা মাইকে ঘোষণারত পুলিশ সদস্যকেই হত্যা করে। সাংবাদিক চলচ্চিত্র বেক্তিত্ত জহির রায়হান তার নিখোঁজ ভাই শহিদুল্লাহ কায়সারের খোজে এই বাহিনীর সাথে যুক্ত ছিলেন। সেদিন শত্রুর অতর্কিত হামলায় সেনাবাহিনীর লে. সেলিম, পুলিশের এএসপি জিয়াউল হক খান লোদী এবং জহির রায়হান সহ ৩৯ জন শহীদ হন। আহতের সংখ্যা ছিল অনেক এদের কাউকে কাউকে চিকিৎসার জন্য পোল্যান্ড এবং জার্মানি পাঠানো হয়েছিল। এদের কেউ কেউ সেখানে মারা যান। মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ এমনি একজন যোদ্ধা ছিলেন। ঢাকা ক্যান্ট সংলগ্ন মানিকদির স্থায়ী বাসিন্দা রিয়াজ পোল্যান্ডে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। তাকে মিরপুরের পূর্বে তার বাড়ীর কাছে মানিকদিতে দাফন করা হয়। এখন সেখানে মাছ বাজার।