কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষি, সাহায্য ও পুনর্বাসন এবং তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয় প্রাথমিক পর্যায়ে কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে দেশকে অতি স্বল্প সময়ে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে তােলার জন্য একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এ কর্মসূচিকে কার্যকরি করে তুলতে সাহায্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় সক্রিয় সহযােগিতা করবেন। সরকারিভাবে একথা ঘােষণা করা হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে সরকারের সরাসরি যােগাযােগ স্থাপন করাই এই প্রচেষ্টার মূল উদ্দেশ্য। অতীতে এই ব্যবস্থা ছিল না। সরকারের দৃঢ় বিশ্বাস যে, এরূপ সরাসরি গণসংযােগের মাধ্যমে কৃষকদের অসুবিধা ও সমস্যাদির প্রতিকারকল্পে দ্রুত ও সময়মতাে কার্যকরি ব্যবস্থা অবলম্বন করা সম্ভবপর হবে। নিম্নলিখিতভাবে এই কর্মসূচি রূপান্তরিত করা হবে: ১. কৃষি উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করার জন্য বাংলাদেশ বেতারে প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টা পাঁচ মিনিট থেকে সাতটা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা একটি নিয়মিত অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে। ২. কৃষি মন্ত্রণালয় অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা এই অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে শুনবেন ও নির্দেশাদি পালন করবেন। তারা কৃষকদের এই অনুষ্ঠান শুনবার। জন্য উৎসাহিত করবেন এবং স্থানীয় বেতার যন্ত্রের পূর্ণ সদ্ব্যবহার যাতে করা হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন। স্থানীয় তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয় কর্মচারিগণও এই কর্মসূচিতে পূর্ণ সহযােগিতা দান করবেন। ৩. কৃষি উন্নয়নের এই অভিযান যাতে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় সেজন্য দ্বিমুখী পন্থায় সরকার ও কৃষকদের মধ্যে সরাসরি যােগাযােগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে ঢাকায় একটি কন্ট্রোল রুম খােলা হয়েছে। এই ব্যাপারে সাহায্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ে মহকুমা পর্যায়ে অবস্থিত তাদের ওয়ারলেস চ্যানেলের মাধ্যমে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যােগাযােগ স্থাপনের সুবিধা দেবেন। ৪. মহকুমা কৃষি অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের মহকুমায় অবস্থিত বিভিন্ন সংস্থা মহকুমা জনসংযােগ অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা যৌথভাবে উপরােক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন।২৯
রেফারেন্স: ১০ নভেম্বর ১৯৭৩, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ