You dont have javascript enabled! Please enable it!

৫২’র একুশে ফেব্রুয়ারিঃ প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ | সাপ্তাহিক বিচিত্রা | ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫

প্রবাস থেকে

১৯৫২ সালে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিলাম। ভাষা আন্দোলনের ঘটনাবলী স্বচক্ষে দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। এই ফেব্রুয়ারীতে সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই।
আমি প্রথম বর্ষের ছাত্র। নেতৃবন্দের সঙ্গে সে কারণে খুব একটা যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু এখনও চোখ বন্ধ করলে সমস্ত দৃশ্য হুবহু মনে করতে পারি। তাই আমার নিজের অভিজ্ঞতাটাকে শুধু কালের স্বাক্ষী হিসাবে সংক্ষেপে এখানে তুলে ধরছি।
২০ ফেব্রুয়ারীর (৫২) গভীর রাত্রি পর্যন্ত, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হবে, কি হবেনা—এ সম্বন্ধে তুমল রাগ-বিতণ্ডা করেও সর্বদলীয় কর্ম-পরিষদ এবং অন্যান্য নেতা, কোন স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারলেন না। কারণ এতবড় কড়া শাসনের বিরুদ্ধে আইন-ভঙ্গ করে জীবনের ঝুকি নিতে অনেকে প্রস্তুত ছিলেন না। পরের দিন ২১শে ফেব্রুয়ারী, সকাল থেকেই ইউনিভার্সিটি এবং মেডিক্যাল কলেজ এলাকা রাইফেল ও হেলমেট ধারী পুলিশ ভর্তি হয়ে যায়। বেলা এগারটার দিকে ইউনিভার্সিটি-কলা-ভবনে নতুন করে মিটিং বসে এবং এই মিটিং-এ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আরো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, দশজন করে মিছিল বের করা হবে, যাতে শৃংখলা বজায় থাকে এবং দীর্ঘ সময় মিছিল চলতে থাকে।
বেলা সাড়ে এগারটার দিকে দেখলাম ছাত্ররা দশজন, দশজন করে শৃংখলার সঙ্গে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ ধ্বনি দিতে দিতে গেট থেকে বাইরে বেরিয়ে আসছে। আর পুলিশ তাদের ভ্যানে উঠিয়ে সেন্ট্রাল জেল, লালবাগ থানা অথবা টঙ্গীর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এত করেও পুলিশ ছাত্রদেরকে দমাতে পারল না। পুলিশের উপর ছাত্ররা বিক্ষিপ্তভাবে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকল। বেলা সাড়ে বারটার দিকে ইউনিভার্সিটি এবং মেডিক্যাল কলেজ এলাকায় পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছাড়া শুরু করল। সমস্ত এলাকা টিয়ার গ্যাসের ধূয়ায় ধূমায়িত হয়ে গেল। অনেকেই মাটিতে পড়ে গেল। আমার চোখ দিয়ে দর দর করে পানি ঝরতে লাগল। যন্ত্রণায় দু-হাত দিয়ে চোখ চেপে ধরলাম এমন সময় একজন অভিজ্ঞ ছাত্রনেতা মাইকে প্রচার করলেন যে—সবাই পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন অথবা পানিতে রুমাল ভিজিয়ে তাই দিয়ে চোখ মুছে ফেলুন। মাইকে প্রচারিত এই টোটকা চিকিৎসায় কাজ হল। ভেজা রুমাল দিয়ে চোখ মুছে অনেকটা রিলিফ পেলাম। কিন্তু টিয়ার গ্যাসের প্রচণ্ড আক্রমনে পুলিশরা তখনকার মত কৃতকার্য হল। বেলা একটার মধ্যে সমস্ত ছাত্র এবং বাইরের জনতা, ছুট-ছাট করে এদিক ওদিক ভেঙ্গে পড়ল। সমস্ত এলাকা কিছটা স্তন্ধ এবং শান্ত আকার ধারণ করল। পুলিশও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে এদিক ওদিক সরে পড়ল। মনে হল যেন সব আন্দোলন স্তন্ধ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর জনতা আবার কোথা থেকে এক-পা দু-পা করে এসে মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলে জড়ো হল। হোস্টেলের পাশেই ছিল পরিষদ ভবন এবং তিনটায় সেখানে ছিল পরিষদ মিটিং। মন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা অ্যাসেম্বলীর দিকে যাত্রা শুরু করেছেন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় তখন শুধু পুলিশ আর পুলিশ।
বেলা আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি আবার ভয়ানক আকার ধারণ করল। ছাত্ররা বেরিয়ে এল পুলিশও মার মুখো হয়ে ছাত্রদেরকে লাঠিচার্জ করতে এল। মেডিক্যাল হোস্টেলের পশ্চিম পাশে খোলা জায়গায় অনেকগুলি পুরানা ইটের পাঁজা ছিল। ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্ররা সেগুলি হাতে তুলে নিল এবং পুলিশের দিকে ছুড়তে শুরু করল। পরিস্থিতি এমন ভয়ানক হয়ে দাঁড়াল যে, এ্যাসেম্বলীর দিকের গাড়ি গুলো রাস্তায় আটকা পড়ে গেল। বেলা তিনটার পরে একজন পুলিশ সার্জেন্টের ইঙ্গিতে কিছু সংখ্যক রাইফেলধারী পুলিশ অতর্কিতে হোস্টেলের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ল এবং গুলি চালাতে লাগল। মিনিটের মধ্যে হোস্টেলের সম্মুখে ভাগটা একটা রণক্ষেত্রে পরিণত হল। গোলা গুলির কাজ শেষ করে হুট করে সরে পড়ল পুলিশ। কিন্তু আহতদের বুক ফাটা ক্রন্দনে মেডিক্যালের আকাশ-বাতাস হল প্রকম্পিত, আর শহীদদের তাজা রক্তে হোস্টেলের সম্মুখ ভাগ হল রক্তাক্ত।
গোলা-গুলির পর যে দুইজন শহীদের লাশ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল, যতটা জানা গিয়েছিল, ঐ দুটি লাশ ছিল শহীদ আবদুল জব্বার ও আবদুস সালামের। একজনের মাথার খুলি একেবারে উড়ে গিয়ে মগজ বের হয়ে গিয়েছিল, আরেকজনের বুকে গুলি লেগেছিল। এই দুইটা লাশ ছাড়াও গেটের পার্শ্বে ড্রেনের কাছে একটি ছেলের লাশ (১২-১৩ বছর) পড়েছিল। সম্ভবত পথচারী ছিল বলেই তার পরিচয় জানা যায়নি। অন্যান্য আহত এদিক ওদিক পড়েছিলেন। আহতদের তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে তাদের মধ্য থেকেও কয়েকজন মারা যান। মৃতদের মধ্যে যে চারজনের নাম বিশেষভাবে জানা গিয়েছিল তাঁরা হচ্ছেন। (১) আবদুল জব্বার (২) আবদুস সালাম (৩) আবুল বরকত (বা বরকত আলী) (৪) রফিক উদ্দিন।
মেডিক্যালের ছাত্ররা অতন্দ্র প্রহরীর মত অনেক রাত পর্যন্ত শহীদদের এই লাশগুলিকে পাহারা দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু গভীর রাতে পুলিশ বা সেনাবাহিনীর লোক এসে লাশগুলিকে ছিনিয়ে নেয় এবং আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করে।
পরেরদিন ২২ ফেব্রুয়ারী, শুক্রবার, শহীদদের গায়েবী জানাজার প্রােগ্রাম করা হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলে অফিস-আদালত, দোকানপাট, গাড়ী-ঘোড়া বন্ধ হয়ে গেল। চতুর্দিক থেকে সর্বস্তরের অগনিত লোক মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলে জমায়েত হতে লাগল। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এলেন বেলা প্রায় দশ টার দিকে। তারপরই গায়েবী জানাজা শুরু হল এবং জানাজাতে মওলানা ভাসানী সাহেব তাঁর দীর্ঘ মোনাজাতের ভিতর দিয়ে শুধু শহীদদের জন্য মাগফেরাতই কামনা করলেন না, বরং অগণিত মানুষের অব্যক্ত বুকের ব্যথার কথা আল্লাহর দরবারে এমন করুণভাবে পেশ করলেন যে মনে হল আল্লাহর আরশ যেন কেপে উঠল।
জানাজার পর শহীদদের রক্তাক্ত জামা-কাপড় সরু বাঁশের খুঁটিতে বেধে তা সম্মুখে রেখে, লাখ জনতার মিছিল এগিয়ে চলল মেডিকেল হোস্টেলের গেট দিয়ে। মিছিল কলা ভবনের দিকে যেয়ে, রশীদ বিল্ডিং-এর মোড় পেরিয়ে ইউনিভারসিটির হলের মাঠের পাশ দিয়ে কার্জন হলের মোড় ঘুরে, পুরানা হাইকোর্ট এবং কার্জন হলের মাঝখানের রাস্তা ধরে উত্তর দিকে এগিয়ে চলল এবং তা পর্যন্তও মিছিলের শেষ প্রান্ত মেডিক্যালের গেট পার হয়ে সারেনি। লোকের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করা অবশ্য সম্ভব ছিল না। তবে এর আগে ঢাকার বুকে এত বড় মিছিল আর কোনদিন হয়নি। কারণ সেইটাই ছিল ছাত্র জনতার ওপর পুলিশের প্রথম গুলিবর্ষণ।
আমি মিছিলের একেবারে সামনে অবশ্য ছিলাম না কিছুটা পিছনে ছিলাম। সম্মুখের দিকে এগুবার চেষ্টা করছিলাম এবং প্রায় সম্মুখ ভাগে পোঁছে গিয়েছিলাম। এমন সময় খান সেনারা পুরানা হাই কোর্টের মোড় থেকে অতর্কিতে বিরাট মিছিলের উপর স্টেন গানের গুলি ছোঁড়ে। হঠাৎ করে এই আচমকা গুলিতে আমরা এমন দিশেহারা হয়ে পড়ি যে, কোন দিক থেকে কোন দিকে যাই, তার কোন পথ খুজে পাইনা, কারণ পশ্চিম দিকে রয়েছে হাই কোর্টের উচ্চ লোহার শিকের বেড়া, পূর্বে কার্জন হলের অনূরূপ উচ্চ বেড়া, দক্ষিণ দিকে জন সমুদ্র আর উত্তরদিকে খান সেনাদের স্টেনগান। এখন আমরা পালাই কোন দিকে! কিন্তু এ সেই দারুন বিপদে-কি করে যে আমরা এত উচ্চ লোহার শিক ডিঙ্গিয়ে অর্ধেক লোক হাইকোর্টের দিকে, অরি অর্ধেক লোক কার্জন হলের দিকে লাফিয়ে পড়লাম। সেই গুলিতে কেউ আহত হয়েছে বলে শুনিনি।
সেদিনকার এই মরণ অভিযানে আমার সঙ্গে ছিলেন টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের ডাক্তার, বন্ধুবর নজিবর রহমান সাহেব।
গুলির ফলে মিছিল আর উত্তর দিকে বা সেক্রেটারিয়েটের দিকে এগুতে পারল না । ছত্রভঙ্গ জনস্রোত তখন, আষাঢ়ের বাঁধ দেওয়া খরস্রোত নদীর ন্যায়, তার গতিপথ পরিবর্তন করে ভিন্নপথে প্রবাহিত হতে লাগল। একদল রশীদ বিল্ডিং এর মোড় থেকে, রেলওয়ে হাসপাতাল ও গুলিস্তান হয়ে, নবাবপুরের দিকে ধাবিত হল, আর অন্যদল নাজিমুদ্দিন রোড ধরে চকবাজারের দিকে এগিয়ে চলল। সেদিন সারাদিন ধরে, বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন মিছিল বিভিন্ন রাস্তায় প্রবাহিত হয় এবং নানা জায়গায় পুলিশের গুলি বর্ষিত হয়।
ঐদিন রাত্রে মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলে কিছু সংখ্যক নেতা গোপন বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকে ডাঃ গোলাম মওলা (ভি, পি) ডাঃ বদরুল আলম, ডাঃ মঞ্জুর এবং বাইরের কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি শহীদমিনার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুধু সিদ্ধান্ত নিয়েই তারা ক্ষান্ত হননা, মেডিক্যাল কলেজের উচ্চ ক্লাশের ছাত্র, বদরুল আলম সাহেবের নকশা অনুসারে সেই রাতের অন্ধকারেই অমানুষিক পরিশ্রম করে, হোস্টেলের সেই পুরানা ইট দিয়েই গুলিবর্ষণের স্থানে, একটি শহীদ মিনার স্থাপন করেন।
পরের দিন ২৩শে ফেব্রুয়ারী, শনিবার তেমন কোন বিশেষ ঘটনা ঘটেনি। তবে অফিস-আদালত সেদিনও বন্ধ থাকে, হরতাল পালন করা হয় এবং ধর-পাকড় অব্যাহত থাকে।
২৪ তারিখে মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনীয়ারিং হোস্টেলে একটি বিশেষ ঘটনা ঘটে। তিনটি মাইক আন্দোলনের ঘটনাবলী সম্বন্ধে দিনে-রাতে প্রচারকার্য চালিয়ে যাচ্ছিল। এর একটি ছিল মেডিক্যাল হোস্টেলে, একটি ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং হোস্টেলে, আরেকটি ছিল সলিমুল্লাহ হোস্টেলে। প্রচার কার্য বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ঐদিন দিবা-ভাগেই সেনাবাহিনীর লোক এসে মেডিকেল ও ইঞ্জিনীয়ারিং হোস্টেলের মাইক দুটি কেড়ে নিয়ে যায় এবং শহীদ মিনারটিও ভেঙ্গে ফেলে। এতে ছাত্রদের মনে দারুণ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তবে সলিমুল্লাহ হলের আর একটিমাত্র মাইকই সম্বল থাকে এবং তা দিয়ে দিনে রাতে প্রচারকার্য চলতে থাকে। এই মাইকটিই ছিল তখন সমস্ত আন্দোলনের এবং সমস্ত জনতার একমাত্র মুখপাত্র এবং সলিমুল্লাহ হলই ছিল সমস্ত প্রচারকার্যের কেন্দ্রস্থল। এই মাইকের ঘোষণা শোনার জন্য এবং নির্দেশনামা জানার জন্য সকালে দুপুরে বিকালে সন্ধ্যায় বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে লোক এসে সলিমুল্লাহ হলের সম্মুখের মাঠে ভিড় জমাত। এই মাইকটি দোতলায় বেশ সুরক্ষিত অবস্থায় ছিল।
২৫ কিংবা ২৬ ফেব্রয়ারী সলিমুল্লাহ হল ঘেরাও হয়ে গেল। ভাগ্যক্রমে ঐ সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম, কারণ ইকবাল হল থেকে মেইন রোড ধরে আমি মেডিক্যাল হোস্টেলে যাচ্ছিলাম। বেলা তখন দশটার মত হবে। শত শত তামসগিরিদের মধ্যে আমিও মেইন রোডে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল হলটি ঘেরাও করে ফেলল। এক দল ইকবাল হলের দিক থেকে এবং অন্যটি মেইন রোড থেকে মেইন গেট দিয়ে হলের দিকে অগ্রসর হল। একজন মেজর এই অপারেশনের কমান্ডার ছিলেন। এবং হলের প্রভোস্ট সাহেবকে ডেকে আনা হয়েছিল। অন্ততঃ এক ঘন্টা ধরে তল্লাশী চলতে থাকল এবং বহু কাজগ-পত্র তছনছ করা হল। শেষে বেশ কয়েকজন ছাত্রকে আটক করে নিয়ে গেল এবং মাইকটিও কেড়ে নিয়ে গেল। আগের দিনই হলগুলি খালি করার জন্য সরকারী নির্দেশ জারী করা হয়েছিল। আমরা যার যার গ্রামের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হলাম।
সুদীর্ঘ বত্রিশ বছর পর অতীতের স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে যাদের কথা আজ বিশেষভাবে মনে পড়ছে এবং যাদের সঙ্গে সুখে-দুখে মেডিক্যাল কলেজের দিনগুলি যাপন করেছি, তাঁরা হচ্ছেন—ডাঃ ফজলে রাব্বী, এম আর সি পি (মরহুম), ডাঃ আবদুল আলীম চৌধুরী, চক্ষু বিশেষজ্ঞ (মরহুম), ডাঃ আফতাব উদ্দিন আহমেদ, প্যাথোলোজিস্ট, (নেত্রকোণা), ডাঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ, এম আর সি পি, (ময়মনসিংহ), ডাঃ আবদুল মান্নান, এম আর সি, পি, (কিশোরগঞ্জ), ডাঃ মনির উদ্দিন আহমেদ, এম, আর, সি, পি (ঢাকা), ডাঃ সামছুল আলম (ব্রিগেডিয়ার), ডাঃ আনিছ ওয়াইজ (ব্রিগেডিয়ার), ডাঃ আবদুছ ছালাম (কর্নেল), ডাঃ জওহারুলে ইসলাম তরফদার (কর্নেল), ডাঃ আবুল হাশেম (ফরিদপুর, বর্তমানে রিয়াদ), ডাঃ আবদুল মালেক, (বরিশাল, বর্তমানে মদিনা), ডাঃ আছাদুজ্জামান (টাঙ্গাইল, বর্তমানে লন্ডন), ডাঃ রস্তম আলী (নারায়ণগঞ্জ), ডাঃ (ক্যাপ্টেন) সাফা (চট্টগ্রাম), ডাঃ রওশন আলী (রাজশাহী) ডাঃ গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া (ময়মনসিংহ) ডাঃ আবদুল ওয়াহাব (টাঙ্গাইল, বর্তমানে ঢাকা) ডাঃ মোহাম্মদ রফিকউদ্দিন (মতলব থানা, কুমিল্লা) ডাঃ আবদুছ ছামাদ (দিনাজপুর), ডাঃ আবদুল জলিল (দিনাজপুর) ডাঃ কাজী আনোয়ারুল হক, এবং ডাঃ নজিবর রহমান (গোপালপুর, টাঙ্গাইল)।

ডাঃ আবদুল বাসেত Medical centre; Al-Solaimania; Sakaka-Aljouf; Saudi-Arabia.

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!