জাপানি অর্থনৈতিক মিশন শীঘ্রই বাংলাদেশে আসছে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হােসেন বলেন যে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্ভাব্য সকল প্রকার সাহায্য ও সহযােগিতা প্রদানের ব্যাপারে জাপান সরকার প্রস্তুত রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়ােজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান। সফর অভিজ্ঞতা বর্ণনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই কথা বলেন। ড. কামাল হােসেন বলেন যে, দ্বিতীয়। মহাযুদ্ধে জাপানও বিধ্বস্ত হয়েছিল। কাজেই তারা আমাদের বর্তমান দুঃখ-দুর্দশা সম্যকভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে সহযােগিতা ও সাহায্য প্রদানের ব্যাপারে আলােচনার জন্য শীঘ্রই জাপান থেকে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন। অর্থনৈতিক মিশন বাংলাদেশে আগমন করবেন। এই মিশন আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসে এখানে আগমন করতে পারেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হােসেন বলেন যে, বাংলাদেশে জাপানের সাহায্যে যে সকল প্রকল্পের কাজ চলছে সেগুলােতে প্রয়ােজনীয় অতিরিক্ত অর্থের ব্যবস্থা করা সম্পর্কে দুদেশের কর্মচারীরা কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হােসেন বলেন যে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তথা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হােসেন বলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উভয় দেশের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও মজবুত করেছে। তিনি বলেন যে, জাপান বাংলাদেশকে দক্ষিণ-পূর্ণ এশিয়া ও এই মহাদেশের মৈত্রীর সেতু হিসাবে বিবেচনা করে।৭৮
রেফারেন্স: ২৫ অক্টোবর ১৯৭৩, দৈনিক ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ