সাংস্কৃতিক বিনিময় পরস্পরকে ঘনিষ্ঠ করবে
সােভিয়েত ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে একে অন্যকে নিবিড় করে জানার সুযােগ পাবে। রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় জোনাকী প্রেক্ষাগৃহে সফররত সােভিয়েত সাংস্কৃতিক দলের ৪ দিনব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী জনাব অধ্যাপক ইউসুফ আলী এ কথা বলেন। এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে মন্ত্রী জনগণের প্রতি এক আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। সােভিয়েত জনগণ তাদের সুমহান ঐতিহ্যকে বজায় রেখে সংস্কৃতি ও কলাকে নিষ্ঠার সাথে লালন করেছে এবং এই নিয়ে সাধনা করে যাচ্ছে। মন্ত্রী দু’দেশের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধ কামনা করে বলেন, এ ধরনের বিনিময় মহান সােভিয়েত ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের জনগণের বন্ধুত্ব জোরদার করবে।
আদ্রে ফোমিন : বাংলাদেশে নিযুক্ত সােভিয়েত রাষ্ট্রদূত মি. আদ্রে ফোমিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন যে, সাংস্কৃতিক বিনিময় সােভিয়েত ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মাধ্যমে উভয় জনগণের আকাক্ষিত পারস্পরিক সমঝােতা, বন্ধুত্ব ও সহযােগিতার পথ সুগম করবে। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদলের নেত্রী মাদাম আইরীনাও ভাষণ দান করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি, কূটনীতিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল সােভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন জাতির লােক সংগীত, লােক নৃত্য, যন্ত্রসংগীত, প্রাসঙ্গিক ব্যঙ্গ কৌতুক ও সার্কাস। অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্রীদের মনােরম ও ছন্দময় অনুষ্ঠান পরিবেশনা, মঞ্চে জনৈক আকর্ষণীয় শিল্পীর অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ ভঙ্গিতে মনােরমভাবে জটিল সার্কাস প্রদর্শন। লােক নৃত্য শিল্পীদের দক্ষতা ও হাস্যরসপূর্ণ চমকপদ ব্যঙ্গ-কৌতুক দর্শকদের আকর্ষিত করেছে। দর্শকগণ অনুষ্ঠান চলাকালে তুমুল করতালির মাধ্যমে প্রেক্ষাগৃহকে মুখর করে তােলেন।২২
রেফারেন্স: ৭ অক্টোবর ১৯৭৩, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ