লিবিয়া বাংলাদেশের বিরােধিতা করেনি
বাংলাদেশকে জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়ে আলজিয়ার্স শীর্ষ সম্মেলনে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে লিবিয়া কোন পর্যায়ে তার বিরােধিতা করেনি বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হােসেন। তিনি বলেন, সংবাদ সংস্থা এ সম্পর্কে ভুল রিপাের্ট দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা জানান। তিনি বলেন, কমিটি পর্যায়ের বৈঠকে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব গ্রহণের ব্যাপারে তাদের কুণ্ঠার কথা প্রকাশ করেছিল। পরে তাদের অনেকেই (সম্ভবত সবাই) তাদের সেই কুণ্ঠা আর প্রকাশ করেনি। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, লিবিয়া প্রস্তাবের বিরােধিতা করেছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে লিবিয়া কমিটি পর্যায়ের বৈঠকে কোন ধরনের কুণ্ঠাও প্রকাশ করেনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, লিবিয়ার রাষ্ট্র প্রধান কর্নেল মােয়াম্মের গাদ্দাফির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্নেল গাদ্দাফি নিজে এসে বলেছেন, জাতিসংঘে আপনাদের অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কিত প্রস্তাবে আমরা কোন ‘রিজারভেশন’ একথা জানায়নি।
সিহানুক সরকারকে স্বীকৃতির প্রশ্নে : ড. কামাল হােসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রিন্স নরদোম সিহানুকের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত কম্বােডিয়া সরকারকে স্বীকৃতি দানের ব্যাপারটি বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। ড. কামাল হােসেন বলেন, প্রিন্স নরদোম সিহানুকের সঙ্গে আমরা একটি সুন্দর সমাঝােতার সূত্র উদ্ভাবন করেছি। সেই সমঝােতার ধরনটা কী? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনাে উত্তর দানে বিরত থাকেন এবং বলেন, যথাসময়ে আপনারা সবকিছু জানতে পারবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাংবাদিক সম্মেলনে জিজ্ঞাস করা হয়, ‘উগান্ডার প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইদি আমিনকে আপনাদের কেমন লেগেছে?’ ড. কামাল বলেন, লম্বা চওড়া বেশ শক্ত সামর্থ্য লােক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিতীয় বাক্যটি অবশ্য শেষ করেননি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, জেনারেল ইদি আমিনের সঙ্গেও বঙ্গবন্ধুর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। এতে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলােচনা হয়েছে।৪২
রেফারেন্স: ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩, দৈনিক পূর্বদেশ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ