জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব গৃহীত
আলজিয়ার্স। ঐতিহাসিক চতুর্থ জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষিতে তাকে জাতিসংঘভুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। সম্মেলনের সমাপ্তি অধিবেশনে গৃহীত এক সর্বসম্মত প্রস্তাবে এই তাগিদ দেওয়া হয়। প্রস্তাবে এই প্রসঙ্গে মানবিক সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত দিল্লি চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়। সম্মেলনে যােগদানকারী ৮০টি দেশের মধ্যে অন্তত ১৬টি এখনাে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবুও সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হওয়ায় এটাকে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত বিজয় বলে গণ্য করা হচ্ছে। সম্মেলন শেষে প্রকাশিত ঘােষণাপত্রে আরাে বলা হয় যে, লুসাকা সম্মেলনের পর উন্নয়নশীল দেশে শান্তি জোরদার হয়েছে। তবে অন্যান্য এলাকায় এখনাে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতিতে তা আরাে বেড়ে গেছে। ঘােষণায় বলা হয় যে, উপনিবেশিক যুদ্ধ এবং বর্ণবৈষম্য, সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ, বিদেশি দখলীবস্থা, অর্থনৈতিক শােষণ অব্যাহত থাকবে ততদিন শান্তির সম্ভাবনা সীমিত থাকবে। ঘােষণাপত্রে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য সমঝােতা বিশেষ করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে যােগাযােগ বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করা হবে।৩৯
রেফারেন্স: ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩, দৈনিক পূর্বদেশ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ