পাকিস্তানের একগুয়েমিই শান্তির পথে বাধা- বঙ্গবন্ধু
অটোয়া। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, বাস্তবতাকে স্বীকার করে নেয়ায় পাকিস্তানি ব্যর্থতাই উপমহাদেশের সমস্যাবলি সমাধানের ও পরিস্থিতি স্বাভাবিককরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু কমনওয়েলথ সম্মেলনের প্রথম দিবসে অপরাহ্নে অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যােগদানকারী দেশসমূহের সরকার প্রধানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বলেন যে, পাকিস্তান নিরীহ নির্দোষ বাঙালিদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে বন্দিশিবিরে রেখেছে। সেখানে বাঙালিরা অত্যন্ত দুঃখ কষ্টের মাঝে দিন কাটাচ্ছে। পাকিস্তানি একগুয়েমি কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু বলেন যে, যখন ৯৫টিরও বেশি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে তখনও পাকিস্তান। তাদের শাসনতন্ত্রে সমগ্র বাংলাদেশকে তাদের একটি অংশ হিসাবে দেখানাের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই প্রচেষ্টাকে বঙ্গবন্ধু আক্রমণের সামিল বলে অভিহিত করেন। বঙ্গবন্ধু অধিবেশনে বলেন যে, পাকিস্তানের উস্কানিমূলক তৎপরতা সত্ত্বেও মানবিক সমস্যাবলির সমাধানের জন্য ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের ন্যায্য অধিকারকে দাবিয়ে রাখার জন্য ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বর্বরবাহিনী কি রকম নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছিল বঙ্গবন্ধু তারও বর্ণনা দেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মনােভাবের পুনরুল্লেখ করে বলেন, উপমহাদেশের সমস্যাবলির। সমাধানের জন্য বাংলাদেশ সার্বভৌম সমতার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলােচনা করতে রাজি আছে। বঙ্গবন্ধু ভারত-বাংলাদেশের যৌথ ঘােষণার প্রতি সমর্থন দেওয়ার জন্য কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রগুলােকে ধন্যবাদ জানান।৮
রেফারেন্স: ৩ আগস্ট ১৯৭৩, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ