বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরার নেতৃত্বে ফারাক্কা সমস্যার সুরাহা হবে
বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি সম্পদ ও সেচমন্ত্রী খন্দকার মােশতাক আহমদ গত রাতে দু’দেশের জনগণের মধ্যে গভীর সমঝােতা এবং সৌহার্দ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারত রাজনৈতিক পর্যায়ে ফারাক্কা সমস্যার একটি সম্মানসূচক এবং যুক্তিসঙ্গত সমাধান খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে বলে দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন। গতরাতে এক বেতার ভাষণে মন্ত্রী মহােদয়, ফারাক্কা সমস্যার ব্যাপারে কতিপয় চক্রের প্রচারণার নিন্দা করেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যে, এই ধরনের প্রচারণা সমস্যা সমাধানের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। জনাব মােশতাক আহমদ ভারত-বাংলাদেশ নদী কমিশনের কর্মসূচি সম্পর্কেও আলােচনা করেন। তিনি বলেন, দু’দেশের পানি সম্পদের ব্যবহার এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সমন্বয় সাধন করার জন্য এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। এক দেশের পরিকল্পনা যাতে করে অন্য দেশের পক্ষে ক্ষতিকর না হয়, সেটা নিশ্চিত করা এই নদী কমিশনের উদ্দেশ্য। বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, সম্প্রতি দিল্লিতে গঙ্গার পানি ব্যবহারের ওপর যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, তাতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল উভয় দেশের পক্ষে গ্রহণযােগ্য। কোনাে সমাধান না বের করা পর্যন্ত ফারাক্কা প্রকল্পে কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্মেলনের অপর এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে বর্ষা ঋতুতে বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা দূর করার জন্য সম্ভব হলে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিয়ে ভাগীরথি নদীতে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়। জনাব মােশতাক আহমদ জোর দিয়ে বলেন যে, ফারাক্কা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে ভারতের নেতৃবৃন্দ সমভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি এই মর্মে আশা প্রকাশ করেন যে, উভয় দেশই বঙ্গবন্ধু এবং শ্রীমতী গান্ধীর নেতৃত্বে শীঘ্রই উক্ত সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হবে।১০২
রেফারেন্স: ২৬ জুলাই ১৯৭৩, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ