১১৪ কোটি টাকার খাদ্যশস্য আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত- তাজউদ্দীন আহমদ
অর্থমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদ জানান যে, আসছে বছর ১১৪ কোটি টাকার খাদ্য শস্য আমদানি করার একটা চুক্তি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, যদি এবার শস্যহানি ঘটে তাহলে আরও ১৫০ কোটি টাকার খাদ্যশস্য আমদানি করার প্রয়ােজন হতে পারে। অর্থমন্ত্রী ঢাকার অদূরে এক গ্রামে অনুষ্ঠিত বিরাট জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। অবশ্য তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সময়মত বৃষ্টি হওয়ায় বােরাে ও ইরি ফলন ভালাে হবে। তিনি বলেন, সরকার পানি সেচ ব্যবস্থা ব্যাপকতর করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি বলেন যে, এ বছর সরকারকে ৩শ কোটি টাকার খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়েছে। জনাব তাজউদ্দীন আরও বলেন, কৃষকের সাহায্যদানকল্পে প্রতি থানায় কৃষি ব্যাংক খােলা হবে। এবং এর মধ্যে শতাধিক কৃষি ব্যাংক খােলা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী এপ্রিলের শেষের দিকে সরকার পাঁচসালা পরিকল্পনা ঘােষণা করবে এবং এতে উন্নয়নের কর্মসূচি সম্পর্কে সরকারের কলাকৌশলগত ভূমিকা জানাতে হবে। তিনি আরও জানান যে, সাধারণ নির্বাচনের পর ২ মাসের মধ্যে চার পর্যায়বিশিষ্ট প্রশাসন যন্ত্রের অপর তিন পর্যায় যেমন ইউনিয়ন, থানা এবং জেলা পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি দেশ গড়ার জন্যে সংগ্রাম এবং সমৃদ্ধির মাধ্যমে নতুন যাত্রা পথে অগ্রসর হতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অকুণ্ঠ সমর্থনদানের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার জন্যে সংগ্রাম করেছে এবং তাঁরই নেতৃত্বে পরিচালিত এই সংস্থাকে জাতীয় পুনর্গঠনের সামর্থ্য রাখে। স্বাধীনতা সংগ্রামকালীন মনােভাব নিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আরেকবার ঐক্যবদ্ধ হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি জনগণকে পুরােদমে অংশগ্রহণ করতে বলেন। তাহলে বিরুদ্ধবাদীদের সম্ভাব্য সমালােচনার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। অর্থমন্ত্রী জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্যে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রয়ােজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে অবিচার, শােষণ এবং নির্যাতন থাকবে না।১৮
রেফারেন্স: ৫ মার্চ ১৯৭৩, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ