তেজগাঁও ও গুলশান আওয়ামী লীগ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে মাল্যভূষিত
বঙ্গবন্ধু আসন্ন নির্বাচনে ঢাকার তেজগাঁও ও গুলশান এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় তেজগাঁও ও গুলশান এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মীরা বঙ্গবন্ধুকে অভিনন্দন জানিয়েছে। রােববার সন্ধ্যায় এক মিছিল সহকারে গণভবনে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে এই অভিনন্দন জানিয়ে এসেছে। তাদের এই মিছিলে ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের কর্মীরাও যােগদান করে। মিছিলে তারা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার অসংখ্য প্রতীক বহন করে নিয়ে যায়। পূর্বাহ্নে মিছিলকারিগণ বিকেলে বায়তুল মােকাররম প্রাঙ্গণে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হন। মিছিলকারিগণ গণভবনের প্রবেশদ্বারে এসে তাদের প্রিয় নেতা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা বঙ্গবন্ধু-জিন্দাবাদ, আমার নেতা তােমার নেতা বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু, জাতির জনক যেখানে আমরা আছি সেখানে, বিশ্বে এলাে নতুনবাদ-মুজিববাদ, মুজিববাদ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। অতঃপর বঙ্গবন্ধু তার কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে গণভবনের সিঁড়ি দিয়ে নেমে একটি উন্মুক্ত জীপে করে মিছিলকারীদের সম্মুখে আসেন। মিছিলকারিগণ বঙ্গবন্ধুকে তাদের মাঝখানে পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে। তারা পুনরায় স্লোগান দিতে থাকে। তারা ফুলের পাপড়ি ছিড়ে ছিড়ে বঙ্গবন্ধুকে নিক্ষেপ করে। এবং পরে তারা বঙ্গবন্ধুকে মাল্যভূষিত করে। তারা বঙ্গবন্ধুকে ফুলের তােড়া উপহার দেয়। তেজগাঁও ও গুলশান এলাকার জনগণের পক্ষ থেকে সাবেক গণপরিষদ সদস্য বঙ্গবন্ধুকে একটি রৌপ্য নির্মিত প্রতীক নৌকা উপহার দেয়। তেজগাঁও-গুলশান এলাকার দুজন বৃদ্ধ হাজীও বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাতের জন্যে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এবং তাদের কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন। তারা বঙ্গবন্ধুকে দুটি ফুলের তােড়া উপহার দেন।১২
রেফারেন্স: ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ