You dont have javascript enabled! Please enable it! 1973.01.19 | আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার সম্পর্কে জিল্লুর রহমানের ঘােষণা | দৈনিক আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার সম্পর্কে জিল্লুর রহমানের ঘােষণা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব জিল্লুর রহমান বলেন যে, তাঁর দল আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহারের ঘােষণা করবেন। তাতে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্যে। খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার পূর্ণ নিশ্চয়তা থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিকেলে দলের শহর অফিসে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর দুদিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনকালে জনাব জিল্লুর রহমান প্রসঙ্গত বলেন যে, উক্ত নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের দায়িত্বরত পার্লামেন্টারি সাব-কমিটি ইতােমধ্যে মৌলিক নীতিসমূহ প্রণয়ন করেছেন এবং ইশতেহারের পূর্ণ বিবরণের আংশিক সম্পন্ন। হয়েছে। কমিটি আগামী দুদিনের মধ্যে এই ইশতেহার দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট পেশ করবেন বলে আশা করা যায়। তাঁর অনুমােদনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইশতেহার ঘােষণা করা হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব সম্পর্কে জনাব জিল্লুর রহমান বিরােধী দলের কর্মীদের ক্রমাগত উস্কানি ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আইন প্রয়ােগকারী। সংস্থাসমূহের সাথে সহযােগিতা করার জন্যে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি প্রসঙ্গত বলেন যে, শান্তির সেবক হিসাবে কার্যরত বাহিনীর সদস্যদের মুজিববাদের প্রচার ও তার মৌলিক আদর্শাবলীর বাস্তবায়নের জন্যে আত্মনিয়ােগ করা উচিত। তিনি অভিযােগ করে বলেন, এক শ্রেণির রাজনৈতিক বিরােধী দল আমাদের জাতীয় ইতিহাসের প্রথম সাধারণ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এসব জঘন্য ষড়যন্ত্র জনগণ নস্যাৎ করে দেবে। আওয়ামী লীগ নেতা কাণ্ডজ্ঞানহীনতা ও সংশয় সৃষ্টি না করে জনগণের বৈধ নির্বাচনে অধিকার প্রয়ােগ করতে দেয়ার জন্য বিরােধী দলগুলাের প্রতি আহ্বান জানান। জনাব জিল্লুর রহমান বলেন যে, বিরােধী দলগুলাে সন্ত্রাসী নীতি গ্রহণ করেছে। যেহেতু জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এবং তাদের নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, জনগণ তাদের প্রতি এতই বিরূপ হয়ে পড়েছে যে, তারা দেশের কোন অংশেই জনসভা করতে সক্ষম হচ্ছে না।
আবদুর রাজ্জাক : উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান আবদুর রাজ্জাক জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ দেশি ও বিদেশি চোরদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তােলার জন্য বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমেরিকা ও চীনসহ বিদেশি শক্তিবর্গ কতিপয় রাজনৈতিক দলকে উস্কানি দিচ্ছে। স্বাধীনতার আগে ও পরে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে জনাব রাজ্জাক বলেন, বাহিনী সমগ্র বিশ্বের সামনে ত্যাগ ও আত্মােৎসর্গের এক অম্লান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তারা ভবিষ্যতেও তাদের এই গৌরব অক্ষুন্ন রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।৭০

রেফারেন্স: ১৯ জানুয়ারি ১৯৭৩, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ