স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রথম পাঁচ সালায় ৩শ’ কোটি টাকার কর্মসূচি চালু হবে
দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে আধুনিক ঔষধপত্রের আশীর্বাদ পৌছে দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রথম পাঁচ সালা পরিকল্পনাকালে ৩ শত কোটি টাকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি চালু করা হবে। আগামী জুলাই মাস থেকে নব্য রাষ্ট্রের প্রথম পাঁচ সালা পরিকল্পনা চালু করা হলে এই বিরাট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি বলবৎ হবে। দেশের প্রতিটি পরিবার সুসংহত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির আওতাধীন হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতি বিধান ও দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি রােধ করাই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। কর্মসূচির এখন চূড়ান্ত রূপদান করা হবে। সরকার জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতি বিধানের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব আরােপ করেছে এবং যতটুক আভাস পাওয়া গেছে তাতে বুঝা যায় যে, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি প্রথম পাঁচ সালা। পরিকল্পনা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করবে। সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা শিক্ষার জন্য পরিকল্পনার মােট অর্থের শতকরা ১৬ থেকে ২০ ভাগ বরাদ্দ করবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। পাকিস্তান আমলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার জন্য মােট জাতীয় ব্যয়ের শতকরা ৩ ভাগের কম বরাদ্দ করা হয়। জাতির ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা পরিপ্রেক্ষিতে খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি তৈরি করা হচ্ছে। কর্মসূচিতে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে যে, জনস্বাস্থ্য একটি ক্রয়যােগ্য পণ্য এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি রােধের সাথে সাথে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য গড়ে তােলার জন্য প্রভৃত অর্থ ব্যয় করতে হয়।২৮
রেফারেন্স: ৬ জানুয়ারি ১৯৭৩, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ