জানুয়ারি-জুন মৌসুমে ২১৯ কোটি টাকার পণ্য আমদানি- বাণিজ্যমন্ত্রী এম. আর. সিদ্দিকী
চলতি সালের জানুয়ারি-জুন বাণিজ্য মৌসুমের আমদানি নীতি রবিবার বিকালে ঘােষণা করেছেন। ২১৯ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য আমদানি করা হবে বলে ঘােষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই বাণিজ্য নীতিতে ১৬টি নতুন পণ্য তালিকায় সংযােজিত হয়েছে। সেগুলাে হলাে তিসি তেল, ফার্নেস ওয়েল, অস্ত্র-শস্ত্র, শিক্ষা, সেচ, যান্ত্রিক খেলনা এবং কৃষিকাজের সরঞ্জাম। বর্তমান বাণিজ্য নীতিতে বিলাদ্রব্য আমদানি নিষিদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে বর্তমান বাণিজ্য নীতির ঔষধপত্র ও শিশু খাদ্যের মত নিত্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্য আমদানির ব্যবস্থা রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বেতার ও টেলিভিশনে চলতি বাণিজ্য নীতি ঘােষণা করেন। এই খাতে সম্প্রসারণশীল ভূমিকা উল্লিখিত হয়েছে। চলতি বাণিজ্য মৌসুমে সরকারি খাতে শতকরা ৭৫ ভাগ আমদানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত বাণিজ্য মৌসুমে তা ছিল শতকরা ৫৩ ভাগ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত দুইটি বাণিজ্য মৌসুমে জানুয়ারি-জুন ও জুলাই-ডিসেম্বর ১৯৭২ যথাক্রমে ৮৫ কোটি টাকা ও ২৬১ কোটি টাকার লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছিল। মােট ইস্যুকৃত ৩৪৬ কোটি টাকার লাইসেন্সের জন্য লেটার অব ক্রেডিট ইস্যু করা হয়েছিল ৩০৮ কোটি টাকার। ডিসেম্বর পর্যন্ত আনুমানিক ১০০ কোটি টাকার পণ্য এসে পৌঁছেছে। বিগত বাণিজ্য মৌসুমে কিছু নিত্য প্রয়ােজনীয় পণ্য ও ঔষধপত্রের তীব্র অভাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিগুলােকে কাঁচামাল ও খুচরা যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য শতকরা ২০০ ভাগ লাইসেন্স দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া লেটার অব ক্রেডিট খােলার প্রমাণ দেখাতে পারলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ঔষধ আমদানির লাইসেন্স পুনরায় দেবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দ্রুত আমদানি ও সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ১৯৭৩ সালের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিল অব লেডিং দেখাতে পারলে শিশু খাদ্য, জমানাে দুধ, মােটরের খুচরা যন্ত্রাংশ, টায়ার-টিউব, নৌযানের ডিজেল চালিত ইঞ্জিন এবং খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির ব্যাপারে সরকার পুনর্বার লাইসেন্স প্রদান করবে।১
রেফারেন্স: ১ জানুয়ারি ১৯৭৩, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ