সংকীর্ণতার মধ্যে জাতীয় পুনর্গঠনে অভিযোগ করুন- সৈয়দ নজরুল ইসলাম
ঢাকা। বাংলাদেশ সরকারের শিল্প ও প্রাকৃতিক দপ্তরের মন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় পুনর্গঠনের কাজে বীর সৈনিকের ভূমিকা পালনের জন্য দেশের শ্রমিক নেতা এবং শিল্প শ্রমিকদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের সর্বত্র শিল্প কারখানাগুলোতে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। ইতিমধ্যেই এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। কোনো কোনো কলকারখানায় স্থানীয় ও অস্থানীয় শ্রমিকের মধ্যে কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি এবং জেলাগত সংকীর্ণতার খবর বঙ্গবন্ধু এবং আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বাংলাদেশের সব নাগরিকেরই সর্বত্র সব প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অধিকার আছে এবং এ ব্যাপারে স্থানীয় ও অস্থানীয় বা জেলাগত সংকীর্ণতার কোনো স্থান নেই। সে যেখানেরই আধিবাসী হোন না কেন, আমাদের একমাত্র পরিচয় আমরা বাঙালি।
ববঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের শ্রমিক ভাইদের প্রতি বাঙালি হিসেবে প্রত্যেককে বাংলাদেশের পুনর্গঠনের আত্মনিয়োগ করার আবেদন জানিয়েছেন। বর্তমানে আমরা দেশকে পুনর্গঠনের কাজে ব্যাপৃত রয়েছি। এই মুহূর্তে এই ধরনের সংকীর্ণতা আমাদের অগ্রগতিকে ব্যাহত করুক তা বঙ্গবন্ধুর অভিপ্রত নয়। তাই সকল শিল্প এলাকার শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং শ্রমিক ভাইদের প্রতি সব সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে দেশ পুনর্গঠনের কাজে সাহসী সৈনিকের ভূমিকা পালনের জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। অতঃপর আর কোথাও জেলাগত সংকীর্ণতা যেন সমস্যা হিসেবে দেখা না দেয়। সে ব্যাপারে নজর রাখার জন্যও শ্রমিক নেতা, রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীবৃন্দের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি।
রেফারেন্স: ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ