সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে- ডগলাস হিউম
নয়াদিল্লি। বৃটিশ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ দফতরের মন্ত্রী স্যার আলেক্স ডগলাস হিউম আজ ঘোষণা করেন, সম্পূর্ণ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ভিত্তিতেই বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে। তিনি এখানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে যদি বৃটেনের সাহায্যের প্রয়োজন হয় তবে ‘আমরা অবশ্যই তা করতে ইচ্ছুক’। তবে তিনি এই মর্মে গুরুত্ব আরোপ করেন যে মূলতঃ এটা একটা দ্বিপক্ষীয় ব্যাপার এবং এটার সমাধান অবশ্যই দুপক্ষের (পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে করতে হবে। স্যার আলেক্স থাইলেন্ড সফর শেষে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথে পাকিস্তান সফর করবেন। তিনি বলেন, “ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিংহের সাথে আমার যে কথাবার্তা হয়েছে তাতে আমি এই উপমহাদেশের সমস্যা উপলব্ধি করতে পেরেছি।”
যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ যৌথ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ দফতরের মন্ত্রী স্যার আলেক্স ডগলাস হিউম আজ এই মর্মে গুরুত্ব আরোপ করেন যে, ভারত মহাসাগর এলাকায় একটি যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে ভারতকে ভিত্তিভূমি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যে, এটা সম্ভব কেননা ভারত খুবই শক্তিশালী দেশ এবং বিশ্বের এই এলাকায় নিঃসন্দেহে ভারতের কৃতিত্ব ও প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। দিল্লিতে চারদিনব্যাপী সফর শেষে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ব্রিটিশ অবশ্যই ভারত মহাসাগরে তাঁর নৌবাহিনী মোতায়েন রাখবে। গতবছরে সোভিয়েত রাশিয়া এই এলাকায় তাঁর নৌশক্তি দ্বিগুন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পুনরাজ্জীবিত করে তাকে কার্যোপযোগী রাখা উচিত বলে স্যার আলেক্স ডগলাস হিউম মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কমিশনের অনেক ভালো কাজ করার আছে। কিন্তু কমিশনকে পুনরাজ্জীবিত করার প্রশ্নে রুশ মনোভাবের পরিপেক্ষিতে তিনি খুব আশাবাদী নন। উল্লেখযোগ্য যে, বৃটেন ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ইন্দোচীন সম্পর্কিত জেনেভা সম্মেলনে যুগ্ম সভাপতি।৩১
রেফারেন্স: ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ