বাংলাদেশের জাতিসংঘভুক্তি যুদ্ধবন্দি মুক্তি সম্পর্কযুক্ত করার উদ্যোগ
জাতিসংঘ। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সদস্যপদ দানের জন্য সাধারণ পরিষদকে অনুমতি দিয়ে চূড়ান্ত ভোট ছাড়াই একটি মুলতবী প্রস্তাব গ্রহণের ব্যাপারে একটি আপোষরফার প্রশ্নে নীতিগত ভাবে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে, কূটনৈতিক মহল সূত্রে প্রকাশ। তারা বলেন যে, এই আপোষরফার পরিষদের প্রতি একই সময়ে গত বছরে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে ভারত আটক ৯০ সহস্রাধিক পাকিস্তানি সামরিক ও বেসামরিক বন্দির মুক্তির জন্য বিনা ভোটে অপর একটি প্রস্তাব গ্রহণেরও আহ্বান জানানো হবে। প্রথম প্রস্তাবের উত্থাপক যুগোশ্লোভিয়ার দূত লাজার মোজৎ সব সময় প্রস্তাবটি ভোট ছাড়াই গৃহীত হবে বলে মনে করে এসেছেন। দ্বিতীয় প্রস্তাবের উত্থাপক আর্জেন্টিনার দূত—গারলোস ওরাটিস দ্য রোজার্স গত আড়াই সপ্তাহ ধরে ভোট পরিহারের জন্য একটি আপোষের চেষ্টা করে এসেছেন। সংশ্লিষ্ট মহল থেকে বলা হয় যে, আগামি সোমবার প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করবে বলে তারা আশা করছেন। এরপর কতিপয় প্রতিনিধি তাদের মনোভাব ব্যাখ্যা করবেন। গত ডিসেম্বরে সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাব কার্যকরী করে যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দিলে বাংলাদেশ সে জাতিসংঘে সদস্যপদের যোগ্যতা পালনে সক্ষম ও ইচ্ছুক তার প্রমাণ দিতে পারবে বলে পাকিস্তান যে মনোভাব ব্যক্ত করেছিল, এটা তারই সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যুদ্ধ শেষে বন্দিরা বাংলাদেশ ও ভারতের সম্মিলিত কমান্ডারের কাছে আত্মসর্পণ করেছিল। বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ এবং সাধারণ পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন। পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন করে চীন গত ২৫ আগষ্ট পরিষদে বাংলাদেশের সদস্যপদের আবেদনে ভোট প্রয়োগ করেছিল। অপরাপর ২১টি দেশের উদ্যোগ গৃহীত যুগোশ্লোভিয়ার প্রস্তাবে পরিষদকে যথাসম্ভব সত্বর বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে।৮১
রেফারেন্স: ২৪ নভেম্বর ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ