You dont have javascript enabled! Please enable it!

সংবিধানে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের ব্যবস্থা করে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন

রংপুর। পূর্ণ গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের পথে উত্তোরণে বৈশিষ্ট ও বলিষ্ট পদক্ষেপের ব্যবস্থাসহ জাতির জন্য সংবিধান রচনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বের কূটনৈতিক ইতিহাসে একটা নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। খালিশপুরে এক বিরাট জনসভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে পূর্তমন্ত্রী জনাব মতিউর রহমান বলেন, কোনো দেশের পক্ষেই কোনো বিপ্লব কিংবা মুক্তিযুদ্ধের পর পুনঃ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়, কারণ বিপ্লব কিংবা মুক্তিযুদ্ধের পর দেশগুলোর পুনর্গঠনের কাজের জন্য তাদের নাগরিক অধিকার অনেকটা খর্ব করার প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। কিন্তু আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দু’দশক ধরে। দেশের গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার জন্যে সংগ্রাম করে আশা সরকার গঠনের গোড়া থেকেই তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়। জনাব মতিউর রহমান বলেন যে, জনগণের প্রতি দেশের একজন। গণতন্ত্রী নেতার আস্থা ও তাদের নেতার প্রতি দেশের জনগণের ভালবাসা দর্শনে বিশাল আজ বিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন যে, শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ কেবলমাত্র বাংলাদেশি নয়, উপরন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশের নিপীড়িত জনগণের স্বার্থ সমর্থন করে যাবে এবং সংবিধানটি হচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘকালীন আশা-আকাঙক্ষার মূর্ত প্রতীক। পূর্তমন্ত্রী বলেন যে, নেতার পর জনগণের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশার কথা বঙ্গবন্ধুরও অজানা নেই এবং তার সরকার তাদেরকে বিপর্যের হাত হতে রক্ষার জন্য সর্বান্তকরণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন যে, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ না করলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গণহত্যায় নিহত লোকদের চাইতে বহু বেশি লোক মারা যেত। তবে জনগণ যে না খেয়ে মরবে না, সে সম্পর্কে তাদের আস্থা আছে।৩৩

রেফারেন্স: ১২ নভেম্বর ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!