জাতিসংঘের বৈঠকে ত্রাণ তৎপরতার পর্যালোচনা
নিউইয়র্ক। বাংলাদেশে জাতিসংঘ ত্রাণকার্যে সাহায্যকারী দেশসমূহ সাধারণভাবে নবজাত দেশটিতে ত্রাণকার্যের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষপাতী। সাহায্যকারী দেশসমূহের এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি ও ত্রাণকার্যের প্রধান রবাট জ্যাকসন বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশে ত্রাণকার্যের পর্যালোচনা করেন এবং ত্রাণকার্যের মেয়াদ বৃদ্ধি সম্পর্কে বিবেচনা করেন। বাংলাদেশ বর্তমান ত্রাণকার্যের মেয়াদ বৃদ্ধি সম্পর্কে চূড়ান্ত ৩ ডিসেম্বরের তারিখে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান সম্প্রতি জাতিসংঘের সেক্রেটারি জে. কুট ওয়ার্ল্ড হেইমের নিকট প্রেরিত এক পত্রে ত্রাণকার্যের মেয়াদ ৯ মাস বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করেন। বর্তমান ত্রাণকার্যের মেয়াদ আগামি ৩ মার্চ শেষ হবে। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জ্যাকসন বাংলাদেশে খাদ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা কালে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে, আমন ফসল উঠা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির ফলে বাংলাদেশে চাউলের মূল্য ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। তিনি চালনা বন্দর উদ্ধার কার্যের উল্লেখ করেন যার ফলে খাদ্যশস্য পরিবহন ও চলাচল ব্যবস্থা আরও সহজ হবে। মি. জ্যাকসন আরও বলেন, ত্রাণকার্যের মেয়াদ বিশেষতঃ খাদ্যশস্য চলাচল সংগ্রহ ও বণ্টন এবং মিনিবালকার ও অন্যান্য নৌ পরিবহনের পরামর্শ দেন। বৈঠকে উপস্থিতি বিভিন্ন বক্তা অভিমত প্রকাশ করেন যে, বংলাদেশ ক্রমান্বয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এবং মি, জ্যাকসন বলেন যে, নানান অসুবিধার মধ্যে বাংলাদেশ নিজস্ব দায়িত্ব সম্পাদনে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।৩১
রেফারেন্স: ১১ নভেম্বর ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ