সংবিধানে আরও ২৬টি অনুচ্ছেদ গৃহীত
বুধবার গণপরিষদের অধিবেশনে আরও ২৬টি অনুচ্ছেদ গৃহীত হয়েছে। সংবিধান বিলের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত বিধানসমূহের অধিকাংশই এর মধ্যে রয়েছে। গণপরিষদ দফা ওয়ারী আলোচনার দ্বিতীয় দিবসে দুটি অধিবেশন মোট ৭ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের উত্থাপিত ১০টি ক্ষুদ্র সংশোধনীও গৃহীত হয়েছে। ন্যাপ দলীয় একমাত্র সদস্য শ্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও স্বতন্ত্র সদস্য শ্রী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার গতকাল উত্থাপিত ৮টি সংশোধনই পরিষদ বাতিল করে দেয়। গণপরিষদ সংবিধানের যেসকল সংশোধনী গ্রহণ করেছে তন্মধ্যে একটিতে বেশ্যাবৃত্তি নির্মূল ও জুয়া খেলা বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণের দৃঢ়তার রাষ্ট্রীয় নীতি অনুসরণের উল্লেখ রয়েছে। খসড়া সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ “প্রচেষ্টা চালানোর পরিবর্তে সরকারের “কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান সন্নিবেশিত হয়েছে। পরিষদে গৃহীত অপর একটি সংশোধনীতে আইন দ্বারা নির্ধারিত একটা সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশের বুক থেকে নিরক্ষরতা দূর করার ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। সংবিধান বিলের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, অপর রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্ব এবং অন্যান্য জাতীয় জাদ পক্ষে ক্ষতিকর কার্যকলাপ দমনের উদ্দেশ্যে আইন পরিষদকে প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। পবিস সদস্য সী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা এই বিধানটি তুলে দেয়ার জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব তুললে পরিষদ তা নাকচ করে দেয়। পরিষদ অপর দু’জন সদস্য জনাব নুরুল হক ও জনাব আবদুল মোমিন তালুকদার এই সংশোধনী প্রস্তাবের বিরোধীতা করে বলেন যে, “যুক্তিসঙ্গত বিধি নিষেধের বিধান না থাকলে তা আইনের শাসনের নিকট দায় দায়িত্বহীন কার্যকলাপ প্রশ্রয় দানের স্বাধীনতা মেনে নেয়ার সামিল হবে।২
রেফারেন্স: ১ নভেম্বর ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ