রায়দান স্থগিত
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবর রহমান এবং অপর তিন ব্যক্তির আটকাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করিয়া হেবিয়াস কর্পাস আবেদনের শুনানী গতকাল (বুধবার) ঢাকা হাইকোর্টের স্পেশাল বেঞ্চের সমীপে সমাপ্ত হইয়াছে।
উহার রায়দান স্থগিত রাখা হইয়াছে। জনাব বিচারপতি বি. এ. সিদ্দিকী, জনাব বিচারপতি এম. আর. খান, জনাব বিচারপতি সালাহউদ্দিন আহমদ, জনাব বিচারপতি এ. এম. সায়েম এবং জনাব বিচারপতি এ. এম. আবদুল্লাহকে লইয়া এই স্পেশাল বেঞ্চ গঠিত হয়।
শেখ মুজিবর রহমান ব্যতীত হেবিয়াস কর্পাসের আদেশকারী অপর তিনব্যক্তি হইতেছেন আওয়ামী লীগের জনাব তাজুদ্দিন আহমদ, জনাব নুরুল ইসলাম ও জনাব মােস্তাক আহমদ। তাঁহারা সকলেই পৃথক পৃথক হেবিয়াস কর্পাস করেন।
সরকারপক্ষের কৌসুলী জনাব টি. এইচ. খান বলেন যে, আটক ব্যক্তিদের কার্যকলাপ আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার পক্ষে ও জননিরাপত্তার পক্ষে ক্ষতিকর। বলিয়া গণ্য করা হইয়াছে। সুতরাং তাহাদের গ্রেফতার করা হইয়াছে বলিয়া সরকারপক্ষের কৌসুলী উল্লেখ করেন।
তিনি আদালতে স্বীয় বক্তব্য পেশ প্রসঙ্গে বলেন যে, ছয়-দফা কর্মসূচীর সহিত আটকাদেশের কোন সম্পর্ক নাই কিন্তু উক্ত কর্মসূচীর নামে যেভাবে আন্দোলন শুরু করা হইয়াছিল উহা মারাত্মক ক্ষতিজনক এবং এই সংক্রান্ত কার্যকলাপ সম্পর্কে আটককারী কর্তৃপক্ষ “সন্তুষ্ট হইলেই আটকাদেশ দিয়াছেন বলিয়া সরকারী কৌসুলী যুক্তি প্রদর্শন করেন। তিনি যুক্তি দেখান যে, ছয়-দফা কর্মসূচী প্রচারের জন্য যে আন্দোলন অথবা পদ্ধতি গ্রহণ করা হইয়াছে, উহা দেশের স্বার্থের পরিপন্থী। উদাহরনস্বরূপ তিনি বলেন যে, ইহার ফলে দেশে আইন ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যার উদ্ভব হয়। রাজনৈতিক কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
Reference: সংবাদ, ১১ জুলাই ১৯৬৬