ভারত-বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন চুক্তি স্বাক্ষর
সকালে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন চুক্তি এখানে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য এবং নৌ-পথে পণ্য চলাচলের সুবিধা হবে। এই চুক্তিটি গত মার্চে স্বাক্ষরিত ভারত বাংলাদেশ বাণিজ্য চুক্তির ফলশ্রুতি বিশেষ। এক পক্ষকালের মধ্যেই চুক্তিটি কার্যকর হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৫ বছরের জন্য এই চুক্তিটি বলবৎ হবে। ১৯৬৫ এর পাকিস্ত নি-ভারত যুদ্ধকালীন নৌ-পথে বাণিজ্যিক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই চুক্তিটি নৌ-পথে বাণিজ্যিক চলাচলের সুবিধে আবার উনুক্ত করল। ভারতের পক্ষে ট্রান্সপোর্ট ও শিপিং দফতরের সেক্রেটারি শ্রী পিমপূতকর এবং বাংলাদেশের পক্ষে শিপিং, আই, ডব্লিউ, টি, এ ও এভিয়েশন দফতরের সেক্রেটারি জনাব সুলতানুজ্জামান চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষর পর্ব সম্পন্ন হবার পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা জনাব সুলতানুজ্জামান সাংবাদিকদের নিকট এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, এই দুই দেশের জন্যই এটা একটা পরম ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্ত। এর ফলে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও জোরদার হবে। দুই দেশের প্রতিনিধি দলের যুক্ত বিবৃতিতে প্রকাশ, এই চুক্তির ফলে ভারত দুটো রুটে পশ্চিম বাংলা এবং আসামের মধ্যে যোগাযোগের সুবিধা পাবে। যথা, গোয়ালন্দ হয়ে কোলকাতা ও ধুবড়ীর মধ্যে এবং ভৈরব বাজার ও শেরপুর, সিলেট হয়ে কোলকাতা এবং করিমগঞ্জের মধ্যে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতা শ্রী পিমপূতকর বলেন যে, ট্রানজিট বাণিজ্য এবং পরিবহণের সুবিধা দু’পক্ষকালের মধ্যে শুরু হবে। তবে এই সুবিধা কেবল পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবেযাত্রীদের ক্ষেত্রে নয়।৩
রেফারেন্স: ১ নভেম্বর ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ