মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে যুবকরা দেশ গঠনে এগিয়ে এসেছেন – আবুল কাশেম | সাপ্তাহিক বিচিত্রা | ১ মে ১৯৮১
যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী
সাক্ষাৎকার
আবুল কাশেম গণতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। ‘৬০-এর দশকে তিনি ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে আসেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন এবং দুই নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। বর্তমানে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের যুব উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলােচনা করেছেন বিচিত্রা প্রতিনিধির সঙ্গে।
প্রশ্নঃ সরকার যুব শক্তিকে কিভাবে দেখছে?
উত্তরঃ যুব শক্তি হল একটি দেশের প্রাণ শক্তি। এই শক্তিকে বর্তমান সরকার একটি কর্মশক্তিতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন এবং মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
প্রশ্নঃ কি ধরনের কর্মসূচী আপনারা নিয়েছেন ?
উত্তরঃ মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবং সম্পদ ও পরিবেশ বিচার করে আমরা যুব সম্প্রদায়কে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি যাতে তারা কর্মক্ষম গােষ্ঠী হিসেবে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে। দেশের দুই থেকে আড়াই কোটি যুবককে কর্মক্ষম আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে পারলে তারা হবে দেশ গঠনে উৎপাদনের প্রধান শক্তি।
প্রশ্নঃ যুব নীতি কি তৈরি হয়েছে? হয়ে থাকলে তার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তরঃ সরকারীভাবে যুব নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। এখনও এই নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি তবে আশা করছি এ বছর জুন মাসে তা শেষ হবে। এই নীতিমালার বৈশিষ্ট্য মূলতঃ হবে যুবশক্তিকে কর্মশক্তিতে রূপান্তরিত করা। তাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে তােলা এবং দেশ গঠনের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় যাতে তারা অংশ নিতে পারে সেই পথ ও পদ্ধতি সৃষ্টি করা।
প্রশ্নঃ যুব মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত যে কর্মসূচী নেয়া হয়েছে তার সাফল্য বা ব্যর্থতা কতটকু ?
উত্তরঃ যুব মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে প্রায় দু’বছর। মন্ত্রণালয় গঠনের পরই আমরা ভেবেছি কিভাবে দেশের ব্যাপক যুব গােষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তােলা যায়। ঢাকায় এ ব্যাপারে একটি সেমিনারের আয়ােজন করা হয়। যাতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যুব প্রতিনিধিরা যােগ দেন। এই সেমিনারে বিভিন্ন সুপারিশ পেশ করা হয়। আমরা এইসব সুপারিশ বিস্তারিতভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করেছি এবং পরবর্তী পর্যায়ে বেশ কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করি। এই কর্মসূচী গ্রহণ করার সময় দেখেছি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, সামাজিক অবস্থা, দেশের সম্পদ প্রভৃতি।
আমাদের দেশ কৃষি ভিত্তিক, সমাজ ব্যবস্থায় গ্রামীণ প্রভাব বেশি, সম্পদ হল দেশের মাটি, পানি, ইত্যাদি প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনবল। এই সবের সঙ্গে যুব শক্তিকে সমন্বিত করতে পারলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ত্বরান্বিত হতে বাধ্য।
দেশের কৃষি অবস্থানের প্রাধান্যের কথা বিচার করে আমরা সবকদেব কৃষি ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। তাদের আধুনিক চাষাবাদ, যন্ত্রপাতি ব্যবহার ও চালন, কৃষি সম্প্রসারণ, সমবায় চাষাবাদ ইত্যাদি বিষয়ে প্রাজ্ঞ করে তােলা হবে।
‘৭৯-৮০ সালে কষি ক্ষেত্রে ৪০ হাজার যুবককে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা ছিল। আমরা দিয়েছি ৩৭ হাজারকে। ৮০-৮১ সালে দেয়া হবে ৬০ হাজার যুবককে। ইতিমধ্যে ৪৫ হাজার যুবককে প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ১২ হাজার যুবককে দেয়া হবে উচ্চতর প্রশিক্ষণ।
এর পাশাপাশি হাঁস-মুরগী পশুপালন, মৎস্য চাষ, কারিগরি প্রশিক্ষণ। (বিদ্যুৎ মেকানিক, মােটর গাড়ি মেকানিক, দর্জি বিজ্ঞান ইত্যাদিসহ তের প্রকার), সেক্রেটারিয়েল কোর্স (মেয়েদের জন্য) প্রভৃতি বিষয়ে প্রায় ১০ হাজার যুবককে প্রশিক্ষিত করে তােলা হচ্ছে। কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে তাদের যন্ত্রপাতি দেয়া হচ্ছে যাতে নিজে নিজে স্বাবলম্বী হতে পারে। কোনাে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা করা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী ঋণের। দেখা যাচ্ছে প্রশিক্ষণের পর যুবকরা অনেক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছে।
প্রশ্নঃ যুব মন্ত্রণালয়ের আওতায় জাতীয় যুব সংস্থা গঠনের প্রয়ােজনীয়তা কেন অনুভব করলেন ?
উত্তরঃ জাতীয় যুব সংস্থা কোনাে রাজনৈতিক সংগঠন নয়। দেশের বিপুল সংখ্যক যুবককে সংগঠিত করে কর্মোপযােগী করে তােলার জন্য যুবকদের নিয়ে একটি দলমত উর্ধে যুব সংগঠন গড়ে তােলার প্রয়ােজনীয়তা অনস্বীকার্য। সে কারণেই গড়ে তােলা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংস্থা। যুব মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রধান কর্মতৎপরতা হল– সংগঠন, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান। এই কর্মতৎপরতা সফল হতে পারে যােগ্য সংগঠনের মাধ্যমে। জাতীয় যুব সংস্থা সে রকম একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে বিশ্বাসী ১৭ থেকে ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত যে কোনাে বাংলাদেশী এই সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য হতে পারবে। জেলায় জেলায়, থানায় থানায়, গ্রামে গ্রামে যুব সংস্থার সদস্যরাই যুবকদের সংগঠিত করবে প্রশিক্ষণের জন্য এবং প্রশিক্ষণ শেষে ব্যবস্থা করবে কর্মসংস্থানের। এভাবে যুবকরা দেশ গঠনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে। এটা নিশ্চিত করার জন্যই জাতীয় যুব সংস্থা। এই সংস্থা কোনো দলের নয়। দেশের বিভিন্ন সমাজ কর্মী, ডাক্তার, শিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিক, ইঞ্জিনিয়ার, ছাত্র—এই সংস্থায় আছেন। এরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে বিশ্বাসী এবং দেশ গঠনে সংকল্পবদ্ধ।
প্রশ্নঃ বেকার যুবকদের বেকার ভাতা দেয়ার কোনাে পরিকল্পনা আছে ?
উত্তরঃ বেকার ভাতা দেয়ায় আমরা বিশ্বাস করি না। কতদিন এই ভাভ দেব ? আমরা বরং চাই যুবকরা নিজে রাই আত্মনির্ভরশীল হবে। এ কারণেই তাদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সাহায্য দেয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি বেকার ভাতা একটি জাতিকে পঙ্গু করে দেয়। আত্মনির্ভরশীল যুব শক্তি’ই দেশ গঠনে অগ্র সেনানী হতে পারে।
প্রশ্নঃ অভিযােগ আছে যুব কমপ্লেক্স-এর সদস্যরা গ্রামে-গঞ্জে নানা ধরনের জুলুম চালাচ্ছে……।
উত্তরঃ দেখুন যুব কমপ্লেক্স অন্য একটি মন্ত্রণালয়ের আওতায় সংগঠিত হয়েছে। এটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে অধীন। তারাই এ ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন। তবে আমি যতটুকু জানি এই পরিকল্পনা যথেষ্ট ভাল।
প্রশ্নঃ যুব সম্প্রদায়কে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা নতুন ঘটনা নয়। এর সুবিধা এবং অসুবিধা কি ? এ ব্যাপারে আপনাদের নীতি কি?
উত্তরঃ এটি একটি বাস্তব প্রশ্ন। এ দেশের ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে অতীতে সাধারণ মানুষের যে কোনাে আন্দোলনে যুবকরাই ছিল প্রথম কাতারে। তারা দিয়েছে নেতৃত্ব কিন্তু ফল ভােগ করেছে কিছু সংখ্যক রাজনৈতিক ব্যক্তি বা টাউট। অতীতে রাজনীতিকরা যুবকদের নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছে এবং প্রয়ােজন শেষে তাদের আস্তা কুড়ে নিক্ষেপ করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে মুসলিম লীগ সরকার, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার যুবকদের এভাবে প্রতারিত করেছে।
আমরা যুবকদের দেখি সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিতে। কোনাে দল বা ব্যক্তির বিশেষ স্বার্থে তাদের ব্যবহার প্রতিরােধ করে। দেশ এবং দেশের মানুষের স্বার্থে যাতে তারা যােগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করছি। এদের সঠিকভাবে গড়ে না তুললে আগামী দিনের মানুষের কাছে আমাদের অপরাধী হয়ে থাকতে হবে। আমরা এই চিন্তা করেই ভবিষ্যতে যুবকরা স্বাতে শিক্ষা, অর্থনীতি, প্রশাসন, বিজ্ঞান প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রে যােগ্য নেতৃত্ব দিতে পারে সেইভাবে তাদের গড়ে তােলার পরিকল্পনা নিয়েছি। এই নতুন প্রক্রিয়ায় দেশের যুবকদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তারা বুঝতে পারছে অতীতে তারা প্রতারিত হয়েছিল। আজ তাই নতুন উদ্যমে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার লক্ষ্যে তারাও এগিয়ে এসেছে।
ষড়যন্ত্রকারীরা অবশ্যই চাইবে যুবকদের নিজস্বার্থে ব্যবহার করতে। কিন্তু সৌভাগ্যের লক্ষণ যে যুবকরা আজ আর কারাে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহৃত হতে চায় না। তারা দেশ গঠনে যােগ্য ভূমিকা পালনে আগ্রহী।
প্রশ্নঃ ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অঙ্গদল হিসেবে জাতীয়তাবাদী যুব দল কতটা রাজনৈতিক শক্তি এবং কতটা সামাজিক আতঙ্ক ?
উওরঃ জাতীয়তাবাদী দলের যুব সংগঠন যুবদলের আমি সভাপতি। আপনারা লক্ষ্য করেছেন জাতীয়তাবাদী দলের সম্মানিত চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুবার একথা বলেছেন যে দলের মূল শক্তি হলো যুবশক্তি। আমরাও আমাদের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছি এবং প্রমাণ অব্যাহত রেখেছি যে মূল দলের আমরাই প্রাণশক্তি। জাতীয়তাবাদী দলের কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা করাই আমাদের কাজ। আমাদের আলাদা কোনো কর্মসূচি নেই। আমরা জানি এবং আপনারা অবগত আছেন যে অতীতে সরকার দলীয় যুবকরা সামাজিক আতঙ্ক ছিল। কিন্তু বর্তমানে সে অবস্থা আমরা কাটিয়ে উঠেছি। আমাদের যুবদলের ছেলেরা সামাজিক আতঙ্ক নয়। তবে দু’একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়ত ঘটে থাকে। তার জন্য ঢালাওভাবে সবাইকে দায়ী করা চলে না। সেরকম কোনাে ঘটনা আমাদের গোচরীভূত হলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
প্রশ্ন-নতুন মন্ত্রণালয়ে নতুন আদর্শে যুবকদের সংগঠিত করতে গিয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কতটুকু বাধার সৃষ্টি করছে ?
উত্তরঃ এই মন্ত্রণালয় নতুন। এর জন্মলগ্ন থেকেই আমি আছি। এ পর্যন্ত কোনাে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আমাদের দমিয়ে রাখতে পারে নি। কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে প্রশাসনিক নিয়ম কানুন ব্যাখ্যা নিয়ে মাঝে মধ্যে বিতর্ক দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত তার সুষ্ঠু সমাধান হয়ে গেছে। আমরা আমাদের লক্ষ্য ও আদর্শের প্রতি অবিচল।
প্রশ্নঃ ‘৭১ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনে বিরােধিতা ও হানাদার বাহিনীর সহযোগিতা করেছেন এমন অনেকে বলছেন যে তাদের ভূমিকা ঠিক ছিল। এর অর্থ স্বাধীনতা যুদ্ধকে অস্বীকার করা এবং রাষ্ট্র বিরােধী তৎপরতা চালানাে। এই অবস্থায় যুবকদের কি ভূমিকা হওয়া উচিত ?
উত্তরঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যুবকরা অস্ত্র তুলে নিয়েছিল দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। সেদিন তাদের কাছে এর বিনিময়ে কোনো প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি ছিল না। তারা যুদ্ধে গিয়েছিল দেশের জন্য, দেশের স্বাধীনতার জন্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই আজ যুবকরা দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লড়াইয়ে সামিল হয়েছে। স্বাধীনতার উপর কোনাে রকম আঘাত এলে তা কেউ সহ্য করবে না। আমি মুক্তিযােদ্ধা হিসেবে একথা বলতে পারি দেশের মুক্তিযােদ্ধারা এবং যুবকরা প্রয়ােজন হলে নতুন করে যুদ্ধে নামবে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য। ‘৭১ সালের ঘৃণ্য অপরাধী রাজাকার, আল-বদর এবং আল-শামসরা ভুল স্বীকারের পরিবর্তে ‘৭১ সালে নিজেদের কত অপরাধকে সঠিক বলে ধৃষ্টতার পরিচয় দিয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তাদের রাজনীতি করার অধিকার দেয়া হয়েছে কিন্তু বাড়াবাড়ি করলে তারা সমুচিত জবাব পাবে এদেশের মানুষের কাছ থেকে। মুক্তিযােদ্ধা এবং যুবকদের এখন উচিত ইসপাত দৃঢ় ঐক্য স্থাপন এবং স্বাধীনতা বিরােধীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা। প্রয়ােজন হলে যেন আবার অস্ত্র তুলে নিতে পারে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য।