বাংলাদেশকে জাতিসংঘে আসতে দেও
জাতিসংঘ। সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি. আন্দ্রে ঘোমিকো বলেছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতিসংঘে প্রকাশ্যে ন্যায্য অধিকার কারোই চ্যালেঞ্জ করা উচিত নয়। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতা করেছিলেন। গ্রেমিকো বলেন, প্রকৃত অর্থে আন্তর্জাতিক চরিত্র লাভের জন্য জাতিসংঘের বাংলাদেশকে সদস্য করে নেয়া উচিত। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং কোরিও গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (উত্তর কোরিয়া) দুই কোরিয়ার ঐক্য সাধনে যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তাকে সমর্থন করেছেন।
মরিসাসের সমর্থন : মরিসাসে প্রধানমন্ত্রী শিউসাগর রামগোলাম চীনের প্রতি বাংলাদেশের জাতিসংঘে প্রবেশে বাধাদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। শ্রী রাম গোপাল বলেন, চীনকেও প্রায় পঁচিশ বছর ধরে জাতিসংঘে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে জাতিসংঘে নেয়া হলেই পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার অমীমাংসিত বিরোধগুলোর নিষ্পত্তি হবে।১০৪
রেফারেন্স: ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ