সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে
বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব এম আর সিদ্দিকী বলেছেন যে, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য অবিলম্বে বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাবে বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, আগামি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতীয় বাণিজ্য প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ভারতীয় বাণিজ্য প্রতিনিধি দল আগামি মাসে ঢাকায় এলেই সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করার বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে তিনি জানান। রোববার বাংলাদেশ সচিবলায় রপ্তানি বাণিজ্য সংস্থা সমূহের প্রতিনিধিদের এক সম্মেলনে ভাষণদানকালে বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব এম আর সিদ্দিকী একথা বলে এনা প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন একটি গণমুখী রপ্তানি নীতি গড়ে তোলার জন্যে এবং যে রপ্তানি নীতিতে দেশ সর্বাধিক পরিমাণে লাভবান হতে পারে এমন এক রপ্তানি নীতি গড়ে তোলার জন্য সরকার বিশেষ ভাবে আগ্রহী। এজন্যই দেশে প্রকৃত রপ্তানিকারকদের সম্ভাব্য সবরকম সুযোগ সুবিধা সহযোগিতা ও উৎসাহিত করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, রপ্তানির বা কার্যপদ্ধতি আরো সহজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদী গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের রপ্তানি ভিত্তিক শিল্পকেও সর্বাত্মক সাহায্য দেয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব এম আর সিদ্দিকী বিশ্বের বাজারে তীব্র প্রতিযোগীতার মোকাবেলার জন্য দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে জোরদার করে তোলার উদ্দেশ্যে রপ্তানির নতুন আইটেম উদ্ভাবনের জন্য রপ্তানিকারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, খাদ্যশস্য শিল্পের কাঁচামাল ও অন্যান্য অত্যাবশকীয় জিনিসপত্রে বাংলাদেশ স্বনির্ভর। দেশের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য আমদানি করতে ২১০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে এবং আমাদের প্রয়োজনীয় কাপড় আমদানি করতে আরো চল্লিশ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। দেশের এই বিপুল ব্যয়ের কথা চিন্তা করেই রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, রপ্তানিকারকদের অধিকতর সুযোগদানের জন্যেই রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোকে পুনর্গঠিত করা হবে।৮৯
রেফারেন্স: ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ