আরো ১৯ জন এমসিএ বহিষ্কৃত
দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের আরো ১৯ জন গণপরিষদ সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সম্পাদক জনাব জিল্লুর রহমান শুক্রবার সংবাদ সংস্থা এনাকে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, অভিযোগ। প্রমাণিত হলে আরো এমসিএকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তিনি বলেন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৪৪ জন এমসিএকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো। আওয়ামী লীগ সম্পাদক জনাব জিল্লুর রহমান বলেন, এসব এমসিএরা তাদের গণবিরোধী ও দেশ বিরোধী তৎপরতার জন্য জনগণের আস্থা হারিয়েছেন। তিনি বলেন এদের বিরুদ্ধে জনগণের আনীত অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী লীগকে দুর্নীতি মুক্ত করার। জন্য আরো এমসিএ এবং দলীয় নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। জনাব জিল্লুর রহমান ঘোষণা করেন যে, জনগণের একটি আদর্শ দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ন্যায়, সততা ও জনকল্যাণের আদর্শের অনুসারী। তিনি বলেন, এই আদর্শকে সমুন্নত রাখা হবেই। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে আওয়ামী লীগের যে ১৯ জন এমসিএকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা হলেন, রংপুরের ড. মোহাম্মদ আবু সোলায়মান মন্ডল, বগুড়ার জনাব তাহেরুল ইসলাম খান ও জনাব জাহিদুর রহমান, রাজশাহীর জনাব সিরাজউদ্দীন আহমদ ও জনাব আবদুস সালাম, পাবনার জনাব কে বি এম আবু হেনা, কুষ্টিয়ার জনাব জহুরুল হক, যশোরের জনাব মোশারফ হোসেন, খুলনার জনাব হাবিবুর রহমান খান, ফরিদপুরের কাজী হেদায়েত হোসেন, ঢাকার জনাব আবদুল হাকিম মাস্টার ও জনাব সাজেদ আলী মুখতার, সিলেটের জনাব মাসুদ আহমদ চৌধুরী ও ড. কাজী সেরাজুদ্দীন আহমদ, কুমিল্লার জনাব গোলাম মহিউদ্দীন আহমদ ও জনাব মোহাম্মদ হাসেম, নোয়াখালীর জনাব শাখাওয়াতুল্লা, চট্টগ্রামের জনাব মির্জা আবু মনসুর ও জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী।৮৪
রেফারেন্স: ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ