দুর্নীতির সঙ্গে কিছু আমলার যোগসাজস রয়েছে
এক বিশেষ সাক্ষাতকারে আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট নেতা জনাব আবদুর রাজ্জাক বলেন, মজুতদার বিরোধী অভিযানে জনগণ খুশি হয়েছিল কিন্তু যাদের ধরা হয়েছে তাদেরকে উদাহরণমূলক কোনো শাস্তি দেয়া হয় নি। এতে জনগণ কিছুটা নিরাশ হয়েছে। আবার যদি কাফু অভিযান চালানো হয় তবে জনগণ সাড়া দেবে। কিন্তু তারা চান অপরাধীদের উপযুক্ত সাজা হোক। সমাজবিরোধীদের সাজাদানের ব্যাপারেও আমলারা সরকারি নির্দেশ পুরোপুরি কার্যকরী করছে না। কারণ দুর্নীতির সাথে তাদেরও অনেকের যোগসাজস রয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রশাসক প্রথা বাতিল করে শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে অচিরেই ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করতে হবে নইলে রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের ব্যর্থতা সমাজতন্ত্রের পথে বিরাট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসনযন্ত্রে সরকারি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা ঠিক কিন্তু প্রশাসনযন্ত্র পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না। তার কারণ শাসনযন্ত্রের পাকিস্তানি মনোভাবাপন্ন কিছু আমলা আছে। সংখ্যায় তারা একেবারে অল্প নয়।৭৩
রেফারেন্স: ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ