দিল্লীতে বঙ্গবন্ধু-ইন্দিরা বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করা হবে
নয়াদিল্লি। প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার সকালে এখানে পৌছবেন ও ৩ ঘণ্টা এখানে অবস্থানের পর ঢাকা যাত্রা করবেন। আজ এখানে এ কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়। তিনি সকাল সাড়ে ১০ টায় এখানে আগমন করবেন ও বেলা দেড়টায় এখান থেকে ঢাকা রওয়ানা হবেন। এখানে সল্পকালীন অবস্থানকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে আলাপ-আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি হবে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম নয়াদিল্লি সফর। বাংলাদেশের মুক্তির পর এটা হবে দ্বিতীয় সফর। পাকিস্তানি কয়েদখানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর লন্ডন থেকে ঢাকা ফেরার পথে এ বছর ১০ জানুয়ারি তিনি নয়াদিল্লির ওপর দিয়ে অতিক্রম করেন। ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের মধ্যে আলোচনাকালে উপস্থিত থাকার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আব্দুস সামাদ আগামিকাল বিকেলে নয়দিল্লি পৌছবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
ভারতীয় মহল সূত্রে প্রকাশ : পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বিষয়ে, বাংলাদেশের ব্যাপারে পাকিস্তনের মনোভাব ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ব্যাপারে চীনের ভেটো দানের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়েই প্রধানত শেখ মুজিবুর রহমান ও শ্রীমতি গান্ধীর মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। বোম্বাই-এ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. এ আর মল্লিক আজ বিকেলে নয়াদিল্লি থেকে বোম্বাই যাত্রা করেছেন। দেশে ফেরার পথে ভারতের মাটিতে বোম্বাইতেই শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম অবতরণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে বেগম মুজিবও থাকবেন। এখানে উল্লেখযোগ্য যে অস্ত্রপচারের জন্য গত ২৬ জুলাই শেখ মুজিব গমন করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ নয়াদিল্লী যাচ্ছেন : ঢাকায় বাসস-এর খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আব্দুস সামাদ আজ বুধবার সকালে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন। তথায় তিনি দু-প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর সাথেই তিনি দেশে ফিরবেন।৪৪
রেফারেন্স: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ