ভাসানী সাম্রাজ্যবাদী ও মাওবাদীদের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছেন
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলী মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মওলানা ভাসানীর গণবিরোধী ও কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয় যে গত ৩ সেপ্টেম্বর পল্টনে মওলানা ভাসানীর ভাষণের মধ্য দিয়ে তার রাজনৈতিক গণবিরোধী চরিত্রই সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি একদিকে বাংলাদেশের মিত্র ভারতের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করেছেন, অপর দিকে চীনের মাওবাদী নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। এমন কি জাতিসংঘে বাংলাদেশের চীনের ভেটো প্রদানেরও ছাফাই গেয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয় যে মওলানা ভাসানী পশ্চিম বঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা প্রভৃতি রাজ্যের জনগণকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ও বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হয়ে বৃহত্তর বাংলা’ গঠনের নির্লজ্জ উস্কানি দিয়েছেন। এতে বলা হয় যে ভারতের সাথে বাংলাদেশের মৈত্রী ও বন্ধুত্ব ছিন্ন করাই মওলানা ভাসানীর সমস্ত বক্তব্যের আসল উদ্দেশ্য। তাছাড়া এ ধরনের উস্কানির পিছনে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ও মাওবাদী চীনের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয় যে উপমহাদেশে অশান্তি জিইয়ে রাখার যে ষড়যন্ত্র চলছে মওলানা ভাসানী তার ক্রীড়নক হিসেবেই কাজ করছেন। মওলানা ভাসানী ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী ক্ষুন্ন করার যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন, তার বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর জন্যেও বিবৃতিতে সকল দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া বিবৃতিতে মওলানা ভাসানীর প্রকাশ্য বক্তব্যে সরকারের নিরবতায় বিস্ময় প্রকাশ করে এই সম্পর্কে সরকারের সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে।২০
রেফারেন্স: ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ