আটক বাঙালিদের জীবন রক্ষায় জাতিসংঘের প্রতি বঙ্গবন্ধুর সাহয্য কামনা
জেনেভা। আজ সকালে এখানকার হোটেল রিজার্ভে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংক্রান্ত হাইকমিশনার প্রিন্স সদরুদ্দিনের মধ্যে ২ ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়। পাকিস্তানে আটক প্রায় ৫ লক্ষ বাঙালি বিষয়টি প্রাধান্য লাভ করে। বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘ হাইকমিশনারের নিকট আটক বাঙালিদের অবর্ণনীয় দুঃখ দুর্দশার কথা উল্লেখ করে তারা স্বদেশ প্রত্যবর্তন না করা পর্যন্ত তাদের জীবন রক্ষা, নিরাপত্তা ও দৈনন্দিন জীবন নির্বাহের ব্যাপারে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ করছেন বলে জানা গেছে। আলোচনা শেষে প্রিন্স সদরুদ্দীন বাহিরে এসে জানান যে, পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বাঙালিদের এই সমস্যা সম্পর্কে জাতিসংঘ সচেতন। এই ব্যাপারে জাতিসংঘ তার কর্তব্য পালনে পিছ-পা হবে না। তিনি অবশ্যই একথা বলেন যে, জতিসংঘ এই ব্যাপারে নিজ থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে না। সংশ্লিষ্ট সরকারকেই জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের কামনা করতে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রিন্স সদরুদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে বাস্তুহারাদের সমস্যা মোকাবিলায় জাতিসংঘ যা করছে এবং করতেছে সে বিষয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর নিকট একটি বিবরণ দিয়েছেন। অদূর ভবিষ্যতে প্রিন্স সদরুদ্দীনের বাংলাদেশ সফরে সম্ভাবনা রয়েছে।৯৬
রেফারেন্স: ২৭ আগস্ট ১৯৭২, দৈনিক ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ