You dont have javascript enabled! Please enable it!

বঙ্গবন্ধু ও রাষ্ট্রপ্রধানের শুভেচ্ছাবাণী

ভারতে ২৫ তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ তাদের বাণীতে ভারতের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। বাণী প্রধান করেছেন, রাষ্ট্রপ্রধান বিচারপতি জনাব আবু সাঈদ চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আবদুস সামাদ।
রাষ্ট্রপ্রধান : রাষ্ট্রপ্রধান বিচারপতি জনাব আবু সাঈদ চৌধুরী ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী ভি, ভি, গিরির নিকট প্রেরিত তার বাণীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষে ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে তার মাধ্যমে ভারতের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানো হয়েছে এবং তাদের সুখী ও সুদীর্ঘ জীবন অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করেছেন। পারস্পরিক কল্যাণের স্বার্থে দু’দেশের মৈত্রী বন্ধন উত্তরোত্তর আরও সুদৃঢ় হতে থাকবে এবং তা সাধারণ ভাবে বিশ্ব ও বিশেষভাবে এতোদঞ্চলে শান্তির সেবায় নিয়োজিত থাকবে বলে তিনি দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেছেন।
বঙ্গবন্ধু : প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নিকট প্রেরিত বাণীতে মহামান্যা প্রধানমন্ত্রীকেও তার মাধ্যমে ভারতের জনগণ ও সরকারের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সুখ ও স্বাস্থ্য এবং ভারতের জনগণের সুখ ও শান্তি কামনা করেছেন।

বাংলাদেশ বাস্তব, কিন্তু স্বীকৃতি দিতে পারি না
নয়াদিল্লি। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জনাব জুলফিকার আলী ভুট্টো আজ বলেন যে, বাংলাদেশের পৃথক হওয়ার বাস্তব সত্যকে পাকিস্তান অস্বীকার করতে পারে না। এই বিচ্ছিনতার পরিণতির জন্য আমি এখন কি করব? ইসলামাবাদের জাতীয় পরিষদ বৈঠকে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। জনাব ভুট্টো আরও বলেন যে, আজকের স্বাধীনতা দিবস অতীতের ভুলের স্মৃতির দিবস। বাংলাদেশের লোক পৃথক হওয়ার যে পথ বেছে নিয়েছেন তাতে কি তারা সন্তুষ্ট হবেন? পাকিস্তান বাংলাদেশের সাথে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে আলোচনা বৈঠকে মিলিত হতে আগ্রহী। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পূর্বে কোনো আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে সম্মতি না। আমরাও বাংলাদেশের স্বীকৃতির বিষয়ে অধিবেশনে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি মন্তব্য করেন যে, বাংলাদেশ যাতে জাতিসংঘের সদস্য হতে না পারে তার জন্য চীন ভেটো প্রদান করবে। নিরাপত্তা পরিষদের অবস্থা অগ্রগতির সাথে আমরা কর্মপন্থা গ্রহণ করব।৪৪

রেফারেন্স: ১৪ আগস্ট ১৯৭২, দৈনিক ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!