You dont have javascript enabled! Please enable it!

ফারাক্কা বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে না- ড, কে এল রাও

নয়াদিল্লা। ফারাক্কা প্রকল্প চালু করার জন্য ভারত এমন কোনো বন্দোবস্ত করবে না যা বাংলাদেশের ন্যায় সঙ্গত স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়। এই সঙ্গে ভারতের অন্যতম সেরা বন্দর হিসাবে কোলকাতাকে সংরক্ষণের জন্য ভারত সরকার হুগলী নদীর নব্যতা অক্ষুন্ন রাখার গুরুত্বটি পুরোপুরি স্বীকার করেন। তার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সকল প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গৃহীত হবে। ভারতের সেঁচ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী ড. কে, এল, রাও আজ রাজ্য সভায় উপরোক্ত বক্তব্য পেশ করেন। ভারত সরকার ১৯৭৪ সালের প্রারম্ভে ফারাক্কা পানি সরবরাহ খালটি চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন এবং তজ্জন্য ১৯৭৪ সাল থেকে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে ৫ বছর যাবৎ গঙ্গা নদী থেকে উত্তর খালে শুষ্ক মাসসহ সারা বছর ৪০ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত করার বন্দোবস্ত করা হবে। উল্লেখযোগ্য যে এই সময়ে বাংলাদেশের গঙ্গা নদী থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পানির চাহিদা থাকে। ড. কে এল রাও তার দীর্ঘ বিবৃতিতে অবশ্য সুনির্দিষ্টভাবে এই কথা উল্লেখ করেন যে, “বাংলাদেশের স্বার্থের কথা মনে রাখা হবে এবং আমরা এমন কোনো বন্দোবস্ত করব না যা উক্ত স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়। ভারত সরকার পূর্বের খাবার মাছ গুলোতে ফারাক্কা সরবরাহ খালটিতে পানির প্রবাহ ২০ হাজার কিউসেকে রাখার সিদ্ধান্ত। গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তা নিয়ে মতদ্বৈধতা দেখা দেয়। কিছু ইঞ্জিনিয়ার এই অভিমত দেন যে, পলি পড়ে হুগলী নদীর মোহনাটি যাতে বন্ধ হয়ে না যায় এবং কোলকাতা বন্দরকে যাতে রক্ষা করা যায় তদুদ্দেশ্য সারা বছর উক্ত খাল দিয়ে ৪০ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত রাখা দরকার। শেষ পর্যন্ত ভারত সরকার পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে ৫ বছর পানির প্রবাহ সারা বছর ৪০ হাজার কিউসেক রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।৪৫

রেফারেন্স: ১৪ আগস্ট ১৯৭২, দৈনিক ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!