জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনের সাফল্য কামনায় বঙ্গবন্ধু
জর্জটাউন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জোটনিরপেক্ষ দেশসমূহের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে একটি বাণী প্রেরণ করেছেন। সম্মেলনের সদস্য নয়- এখন যেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বাণী প্রেরণ করেছেন সম্মেলনে তাদের নামের তালিকা পড়ে শোনানো হয়। এদের মধ্যে চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই এবং পূর্ব জার্মানির প্রধানমন্ত্রীও রয়েছেন।
সম্মেলনের চেয়ারম্যান অবশ্য তাদের প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন নাই। আশা করা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ এই সম্মেলনেই জোটনিরপেক্ষ গ্রুপের সদস্যপদ লাভ করবে। বাংলাদেশ সরকার অবশ্য
প্রথমে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করার জন্যই তৎপরতা কেন্দ্রীভূত করেছে। জাতিসংঘে সদস্যপদ লাভ করার পর বাংলাদেশ জোটরিপেক্ষ গোষ্ঠীতে যোগদান করবে।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই জাতিসংঘের সদস্যপদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে। শীঘ্রই আবেদনপত্রটি নিরাপত্তা পরিষদে পেশ করা হবে এবং চীন ভোট প্রয়োগ না করলে বাংলাদেশ চলতি সালেই বিশ্ব সংস্থার সদস্য হয়ে যাবে।
পূর্ববর্তী এক খবরে বলা হয়, দক্ষিণ ভিয়েতনামের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারকে জোটনিরপেক্ষ গ্রুপে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদাদানের জন্য ভারত ও জর্জটাউনে জোর তদবীর শুরু করেছে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া, মালেশিয়া ও সিঙ্গাপুর এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধীতা করছে। পরবর্তী খবরে প্রকাশ, জোট নিরপেক্ষ দেশসমূহের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলন দক্ষিণ ভিয়েতনামের বিপ্লবী সরকারকে জোট নিরপক্ষে গ্রুপের পূর্ণ সদস্যপদ দান করেছে। এই সিদ্ধান্তে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও লাওসের প্রতিনিধিরা সম্মেলন বর্জন করেন।
রেফারেন্স: ৯ আগস্ট ১৯৭২, দৈনিক ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ