মুক্তাগাছা সর্বদলীয় জনসভা
মুক্তাগাছা, ৮ই মার্চ (নিজস্ব সংবাদদাতা)-ইত্তেফাক সম্পাদক জনাব তফাজ্জল হােসেন, ময়মনসিংহ কারাগারে আটক প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী শ্রী নগেন সরকার, শ্রী জ্যোতিষ বসু এবং শ্রী সুকুমার ভাওয়াল-এর চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঔদাসীন্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করিয়া উপরােক্ত প্রখ্যাত সাংবাদিক, নেতৃবৃন্দ এবং পূর্ব পাক আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবর রহমান ও সম্পাদক জনাব তাজুদ্দিন আহমদসহ সকল রাজবন্দীর আশু ও বিনাশর্তে মুক্তির দাবী জানানাে হয়। স্থানীয় টাউন কমিটির অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি প্রতিরােধকল্পে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কাউন্সিল মুসলীম লীগ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন এবং প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধি স্থানীয় ব্যক্তিদের সমন্বয় অনুষ্ঠিত সভায় উপরােক্ত প্রভাব গৃহীত হয়।
মুক্তাগাছা শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বিশিষ্ট মৌলিক গণতন্ত্রী খােন্দকার আবদুল মালেক শহীদুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সুস্পষ্ট কার্যসূচীর ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানানাে হয়। জরুরী আইন প্রত্যাহারের দাবী জানাইয়া অপর একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। স্থানীয় টাউন কমিটির চেয়ারম্যানের অযােগ্যতা, পক্ষপাতিত্ব, অব্যবস্থা ও দুর্নীতি সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তা বক্তৃতা করেন।
অতঃপর আওয়ামী লীগ নেতা খােন্দকার আবদুল মালেককে আহ্বায়ক, স্থানীয় ন্যাপ-নেতা জনাব মােঃ আবদুর রশীদ (কালামিঞা) ও শহর আওয়ামী লীগ সম্পাদক শ্রী সুভাষ চন্দ্র রক্ষিত (চালান) কে যুগ্মআহ্বায়ক নির্বাচিত করিয়া ‘সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ’ নামে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়। জানা গিয়াছে, নবগঠিত সংগ্রাম পরিষদ প্রথমে জনসভা ও শােভাযাত্রার মাধ্যমে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাউন কমিটিকে দাবী-দাওয়া পূরণের আহ্বান জানাইবেন। যথাসময়ের মধ্যে দাবী পূরণ না হইলে হরতাল, গণসমাবেশ ও মিছিলের মাধ্যমে প্রচন্ড আন্দোলন গড়িয়া তােলা হইবে।
Reference: সংবাদ, ১১ মার্চ ১৯৬৭