You dont have javascript enabled! Please enable it! 1972.08.03 | আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সর্বসম্মত প্রস্তাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ | দৈনিক ইত্তেফাক - সংগ্রামের নোটবুক

আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সর্বসম্মত প্রস্তাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে সমাপ্তি অধিবেশনে গৃহীত এক প্রস্তাবে অবিলম্বে মুজিববাদ সম্পর্কে শিক্ষাদানের ঢাকায় একটি কেন্দ্রীয় শিক্ষা শিবির স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ইহা ছাড়া দালালের আইন সংশোধন করা শাস্তির সর্বনিম্ম মেয়াদ ৫ বছরের কারাদণ্ড ধার্য। বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য মহাপ্রকল্প প্রণয়নের দাবি, আটক বাঙালিদের ফিরে আনার ব্যাপারে কার্যক্রম গ্রহণ ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ ও মুনাফাখোর, মজুতদার ও চোরাচালানীদের সমূলে উৎখাত করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বানসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়। জনাব কামারুজ্জামান, জনাব আব্দুল মালেক উকিল, জনাব আব্দুল মান্নান, জনাব মতিউর রহমান, জেনারেল এম এ জি ওসমানী, জনাব আবদুস সামাদসহ মন্ত্রিসভার সদস্যবর্গ এবং দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব জিল্লুর রহমান সহ মোট ৮৪ জন বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব কোরবান আলী সকল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। মোট পাঁচ দিনে ১০ টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সকল বক্তাই তাদের ভাষণে মুজিববাদ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক কমিটির বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবাবলীর অবশিষ্ট বিবরণ হলো : এই সভার সুচিন্তিত অভিমত এই যে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে সরকার এ পর্যন্ত যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, তাকে সফল করে তুলতে না পারলে, বিশেষতঃ কারখানায় এবং কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে না পারলে গোটা দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিই দুর্বল হয়ে পড়বে এবং তদাবস্থায় সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ দারুণভাবে বিঘ্নিত হবে। সুতরাং এই সভা বাংলার বীর জনতা, বিশেষত কৃষক-শ্রমিক ও অন্যান্য মেহনতী শ্রেণির নিকট আবেদন করছে। যে, তারা যেন সরকারের অনুসৃত সমাজতান্ত্রিক কার্যসূচি বাস্তবায়নের জন্য এগিয়ে আসেন এবং উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজতন্ত্রে উত্তরণের কাজ ত্বরান্বিত ও সুনিশ্চিত করেন।৭

রেফারেন্স: ৩ আগস্ট ১৯৭২, দৈনিক ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ