জুন ও আগস্ট মাসের মধ্যে দশ লাখ টন খাদ্যশস্য আসছে
খাদ্যমন্ত্রী শ্রী ফনি ভূষণ মজুমদার বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর স্বাভাবিক ভাবে কাজ করছে। তাই অধিক সময় ব্যয় না করে সহজেই জাহাজ থেকে খাদ্যশস্য খালাস করা সম্ভব হচ্ছে। মঙ্গলবার এনার সাথে আলাপ করার সময় খাদ্যমন্ত্রী প্রকাশ করেন যে জুন ও আগস্ট মাসের মধ্যে বাংলাদেশের বন্দরগুলোতে ১০ লাখ টন খাদ্য শস্য এসে পৌছাবে। মন্ত্রী বলেন, দেশের তরিৎ চাহিদা পূরণের জন্য বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য আসছে। তিনি বলেন, খাদ্যশস্যের বর্তমান সরবরাহ বজায় রাখতে পারলে, খাদ্যশস্যের কোনো অভাব থাকবে না। খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও অন্যান্য সূত্র থেকে বাংলাদেশের জন্য ১৭ লাখ টন খাদ্য শস্য পাওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। আগামি কয়েক মাসের মধ্যে এই খাদ্যশস্য বাংলাদেশে এসে পৌছবে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশে খাদ্যশস্য প্রেরণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার নিজের সূত্রে খাদ্যশস্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, সরকার কয়েকটি এশিয়া দেশ থেকে চাল কিনছেন। মন্ত্রী বলছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে তরিৎ খাদ্যশস্য সরবরাহের জন্য সুষ্ঠু বিতরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রী ফনিভুষণ মজুমদার বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্যশস্য গুদামজাত করে রাখার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।৫৪
রেফারেন্স: ১৪ জুন ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ