You dont have javascript enabled! Please enable it!

শাসনযন্ত্র আবর্জনামুক্ত করা হবে

প্রেসিডেন্ট সরকারি কর্মচারীদের বাছাই করার জন্য দুটি বোর্ড নিয়োগ করে একটি আদেশ জারি করেছেন। প্রশাসনযন্ত্রকে দুর্নীতিবাজ অফিসার, শাসনামলের দালাল এবং পাকিস্তান আদর্শের প্রতি অনুরক্ত অফিসার কবলমুক্ত করার জন্যই এই বাছাই বোর্ড নিয়োগ করা হয়েছে। প্রশাসনকে জাতীয় পুনর্গঠনের জরুরি কর্তব্য সাধনের উপযোগী করার প্রয়োজনেই এটা করা হয়েছে। ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ সরকার (স্ত্রীনিং) আদেশ নামে অভিহিত আদেশটি সমগ্র বাংলাদেশে সাথে সাথেই বলবৎ হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় বাছাই বোর্ড এর প্রত্যেকটিতেই একজন চেয়ারম্যান, একজন সদস্য ও একজন সদস্য সেক্রেটারি থাকবেন। সরকার যাদের কথা বলবেন, বোর্ড সেসব সরকারি কর্মচারীর আচরণ বাছাই ও পরীক্ষা করে দেখবেন। আদেশমতো সরকারি চাকুরে, কর্পোরেশন অথবা স্থানীয় স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ব্যক্তি অথবা প্রেসিডেন্টের আদেশবলে স্থাপিত অফিসের কর্মকর্তা এবং সরকারি গেজেটে নোটিফিকেশন বর্ণিত হয়নি। এমন ক্যাটাগরির সহকারী কর্মচারীদের বোঝাবে। অবশ্য সশস্ত্র বাহিনীর লোকের আওতায় পড়বে না। কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ বা রিপোর্ট হলে এসব বোর্ড তা তদন্ত করে দেখবে। কারো জীবনযাত্রার ব্যয় তার পরিচিত আয় ও সামর্থের বাইরে কিনা বোর্ড তাও পরীক্ষা করে দেখবেন। বোর্ড ক্ষমতার অপব্যবহার, আচরণ ও নৈতিক চরিত্রও পরীক্ষা করতে পারবেন। এসব কেস পরীক্ষা করে দেখে বোর্ড চাকুরি থেকে বরখাস্ত, অপসারিত অথবা কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে অন্যকোনো আদেশ দিয়ে থাকলে এবং সরকার এসব কেস পাঠালে বোর্ড তা পর্যালোচনা করবেন এবং তদন্তের পর তাদের সুপারিশ জানাতে পারবেন। এই আদেশ বা এই আদেশের অন্তর্গত কোনো বিধান বলে গৃহীত কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করা চলবে না।৫৩

রেফারেন্স: ১৪ জুন ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!