You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্য জাতিসংঘের আবেদনে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে

জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশকে সাহায্য অব্যাহত রাখার জন্য বিশ্বকে দ্বিতীয়বারের মতো যে অনুরোধ জানিয়েছিলেন সে সম্পর্কে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে ‘আনরব’ প্রধান ড. ভিক্টর উমব্রিখট গত রোববার জানিয়েছেন। আনরব’ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দেখা করে জাতিসংঘের ত্রাণ তৎপরতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিক কর্মসূচি সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে তিনি বাসস প্রতিনিধিকে জানান, বিমানে করে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য সরবরাহ কর্মসূচি জোরদার করার জন্য জাতিসংঘ থেকে আজ রোববারের মধ্যেই আরো দু’খানি বিমান এসে পৌছাবে। জুলাইয়ের ২৫ তারিখের মধ্যে ৭টি বিমান ও দুই খানি হেলিকপ্টার ত্রাণ কর্মসূচিতে নিয়োগ করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান জাতিসংঘ বাংলাদেশে ৬টি গুদাম ঘর তৈরি করবে। এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলে তিনি জানান।৪০
সারাদেশে প্রয়োজনীয় খাদ্য মজুদ রাখা হচ্ছে
বাংলাদেশ সরকার খাদ্য সংগ্রহ কর্মসূচি জোরদার করেছে এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সারাদেশে খাদ্য মজুদ করা হচ্ছে। ঢাকায় ওয়াকেবহাল মহলসূত্রে এ খবর জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় এ স্কীন শুরু করা হয়েছে। দ্রুতগতিতে এ ব্যবস্থা বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। যেকোনো কৃত্রিম অভাব সৃষ্টির ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থার সুফল পাওয়া যাবে। জনসাধারণের জন্য যাতে খাদ্যশস্য যথাসাধ্য সহজলভ্য হয় তার জন্যই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর ফলে প্রয়োজন দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই মহকুমার অভ্যন্তর এলাকায় খাদ্য সরবরাহ সহজতর হবে। মহকুমার সকল গুদাম খাদ্য শস্যে পরিপূর্ণ রাখা হচ্ছে এবং কিছু কিছু কোটা উঠিয়ে নেওয়ার সাথে সাথেই তা পূরণ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেন যে, এ ব্যবস্থার ফলে মূল্য পরিস্থিতিতেও সুফল দেখা দেবে। বিদেশ থেকে বিপুল পরিমানে চাল ও গম সংগৃহীত হচ্ছে। এর মধ্যে পাঁচ টন এ মাসের মধ্যেই চালনা ও চট্টগ্রাম এসে পৌছেছে।৪১

রেফারেন্স: ১১ জুন ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!