You dont have javascript enabled! Please enable it!

এমসিএ হত্যা সম্পর্কে অবিলম্বে তদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের হাতে খুলনার এম সি এ জনাব আব্দুল গফুরকে হত্যার দুঃখজনক ও মর্মান্তিক আশু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের হাতে আবদুল গফুরের নিহত হওয়ার খবরে আমি মর্মাহত। আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, দুষ্কৃতকারীদের এরূপ নিষ্ঠুর ও কান্ডজ্ঞানহীন কার্যকালাপ বিশ্ববাসী দ্বারা নিন্দীত হবে। এনার খবরে প্রকাশ, গত ৬ জুন মঙ্গলবার অপহৃত আওয়ামী লীগ এম সি এ জনাব আবদুল গফুর ও দুই জন আওয়ামী লীগ কর্মীর মৃতদেহ আজ সকালে কপোতাক্ষ নদীতে পাওয়া গেছে। তাদের লাশ অপহরণ স্থলের দেড় মাইল দূরে মাটির কলসির সাথে বাধা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
নিহত আওয়ামী লীগ কর্মীদয় হলেন জনাব কামরুদ্দিন এবং জনাব রিয়াজউদ্দিন। তাদের দেহে অনেক ছুড়িকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। খুলনার ডেপুটি কমিশনার ও পুলিশ সুপার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পাইকগাছা থানায় গেছেন এবং এখনও ফেরেননি। খুলনার রেঞ্জের পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল বলেছেন, অবস্থার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ময়না তদন্তের পর তাদের লাশ দাফন করা হবে। গত মঙ্গলবার ৬ জুন পাইকাগাছা থানার শাহপুরাইন থেকে জনাব গফুর অপহৃত হন। চরমপন্থীরা জনাব গফুরকে হত্যা করেছে। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে কৃষিমন্ত্রী শেখ আব্দুল আজিজ গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি তার পরিজনদের কাছে শোক বার্তা পাঠিয়েছেন। জনাব গফুর একজন প্রবীন আওয়ামী লীগ কর্মী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।
মাহমুদুল্লাহর শোক প্রকাশ : গণ পরিষদের অস্থায়ী স্পীকার জনাব মাহমুদুল্লাহ খুলনার এম সি এ জনাব এম এ গফুরের অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে বৃহস্পতিবার গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। দুষ্কৃতকারীরা জনাব গফুরকে অপহরণ করে হত্যা করে। জনাব মাহমুদুল্লাহ তার শোক বাণীতে বলেন, জনাব গফুরের অকাল মৃত্যুতে দেশ একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজকর্মীকে হারালো। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবার বর্গের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান ও মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।৩১

রেফারেন্স: ৮ জুন ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!