খাদ্য পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি
পাবনা। এখানে খাদ্য পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটছে। চাল এখানে ৮০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো পল্লী এলাকায় খাদ্য শস্য চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সংশোধিত রেশনিং-এ এখনও কোনো চাল বরাদ্দ করা হয়নি। ওয়াকেফহাল মহল সূত্রে এ কথা জানা গেছে। বর্তমানে এখানে চিনি ৮ টাকা সের দরে বিক্রি হচ্ছে। কেরোসিন তেল প্রতি ২২ আউন্স বোতল আড়াই টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনির অভাবে মিষ্টি ও চায়ের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। চিনির অভাবে পাবনার ঔষধ প্রস্তুত শিল্পও মারাত্মক অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে। অবিলম্বে খাদ্যশস্য প্রেরণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও ন্যাপ (মোজাফফর) এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বিমান থেকে খাদ্য নিক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।৪৫
রেফারেন্স: ১২ মে ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ