You dont have javascript enabled! Please enable it! 1966.05.12 | আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে দেশরক্ষা আইনেরবলে গ্রেফতার করিয়া সরকার চরম অবিমৃষ্যকারিতার পরিচয় দিয়াছেন, জামাতে ইসলামী আমীর মওলানা মােহাম্মদ আবদুর রহীম এর বিবৃতি | দৈনিক ইত্তেফাক - সংগ্রামের নোটবুক

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে দেশরক্ষা আইনেরবলে গ্রেফতার করিয়া সরকার চরম অবিমৃষ্যকারিতার পরিচয় দিয়াছেন, জামাতে ইসলামী আমীর মওলানা মােহাম্মদ আবদুর রহীম এর বিবৃতি

পূর্ব পাকিস্তান জামাতে ইসলামী আমীর মওলানা মােহাম্মদ আবদুর রহীম এক বিবৃতিতে বলেনঃ
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে দেশরক্ষা আইনেরবলে গ্রেফতার করিয়া সরকার চরম অবিমৃষ্যকারিতার পরিচয় দিয়াছেন। দেশরক্ষা আইনের সাহায্য রাজনৈতিক বিরােধিতার প্রতিশােধ গ্রহণ করা সবসময়ই নিন্দনীয় ও প্রতিবাদযােগ্য। এই আইন কেবলমাত্র জরুরী ও যুদ্ধকালীন অবস্থায় শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত হইয়া থাকে; কিন্তু বর্তমান সরকার যুদ্ধোত্তরকালেও ইহাকে অন্যায়ভাবে বলবৎ রাখিয়া ইহার প্রয়ােগ করিয়া যাইতেছেন। সরকারের অনুসৃত এই নীতির আমরা তীব্র প্রতিবাদ করিতেছি। বিশেষতঃ রাজনৈতিক মতবিরােধকে ক্ষমতার সাহায্য দমন করিতে যাওয়ার মত কাপুরুষতা আর কিছুই হইতে পারে। আওয়ামী লীগের ৬-দফা আন্দোলন জনগণের সম্বন্ধেই পেশ করা হইয়াছে।
আমাদের বিশ্বাস এই যে, গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দলসমূহের নিজ নিজ প্রােগ্রাম দেশবাসীর সামনে পেশ করার অধিকার একটি মানবিক, নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। এই ব্যাপারে সরকারের সাহস থাকিলে প্রকাশ্য আদালতে তাঁহাদের বিচার করিয়া আইনের শাসন কায়েম করিতে প্রস্তুত হউন।
“আমরা সরকারের নিকট জোর দাবী জানাইতেছি যে, পূর্ব পাকিস্তান। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের কাউন্সিল মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি দান করা হউক এবং জনগণকে সকল প্রকার প্রােগ্রাম শান্তিপূর্ণ সুযােগদান করার উদ্দেশ্যে জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করা হউক। অন্যথায় ইহার ফলে কোনরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সরকারই সেজন্য দায়ী হইবেন।”