বঙ্গবন্ধুর নিকট নিক্সনের পত্র
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট প্রেরিত এক পত্রে প্রেসিডেন্ট নিক্সন বাংলাদেশের সাথে দূতাবাস পর্যায়ে সম্পর্ক স্থাপনের আশা প্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান যে, “হ্যা আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দূতাবাস পর্যায়ে সম্পর্ক স্থাপন করব।” ঢাকাস্থ মার্কিন মিশনের প্রধান মি. হেনরী স্পিভাক গণভবনে বঙ্গবন্ধুর নিকট প্রেসিডেন্ট নিক্সনের পত্র প্রদান করেন। পত্রে প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধুকে জানান, “অগ্রগতি ও কল্যাণার্থে আপনার আশা-আকাঙ্ক্ষার সাথে আমিও পরিপূর্ণভাবে একাত্ম।” উপমহাদেশের দেশসমূহে শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে এক সঙ্গে কাজ করতে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমর্থ হবে বলে প্রেসিডেন্ট নিক্সন আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয় উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট নিক্সন বলেন যে, ১৯৪৯ সাল হতে ঢাকায় মার্কিন মিশন কাজ করছে এবং আমেরিকানরা ব্যক্তিগত ও সরকারি পর্যায়ে বাঙালি জনগণের সাথে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় আনন্দিত। আগামিতে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে মৈত্রী ও শুভেচ্ছা আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ: ঢাকাই মার্কিন মিশনের প্রধান মি, স্পিভাক পররাষ্ট্র দফতরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আবদুস সামাদ আজাদের সাথে এক সৌজন্যমূলক সাক্ষাতে মিলিত হন তাকে প্রেসিডেন্ট নিক্সনের পত্রের একটি কপি প্রদান করে।
দিল্লিতে উভয় রাষ্ট্রদূতের মধ্যে সাক্ষাৎ : নয়াদিল্লির এক খবরে প্রকাশ, নয়াদিল্লিস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত মি, কেনেথ কিটিং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব এ, আর, মল্লিকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। দূতাবাসের একজন মুখপাত্র জানান যে, তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
রেফারেন্স: ৮ এপ্রিল ১৯৭২, ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ