You dont have javascript enabled! Please enable it! 1972.04.18 | কমনওয়েলথ পরিবারে বাংলাদেশের আসন লাভ | ইত্তেফাক - সংগ্রামের নোটবুক

কমনওয়েলথ পরিবারে বাংলাদেশের আসন লাভ

ঢাকায় শ্রুত বি,বি,সি’র সংবাদে জানা গেছে যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্য হিসাবে গৃহীত হয়েছে। কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের সেক্রেটারি জেনারেল মি. আর্নল্ড স্মীথ গতকাল লন্ডনে এই কথা ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ কমনওয়েলথের ৩২ তম সদস্য হয়েছে বলে বি,বি,সি’র সংবাদে উল্লেখ করা হয়। লন্ডন হতে এ,এফ,পি পরিবেশিত পূর্বেকার এক সংবাদে প্রকাশ, গতকাল গ্রীনিচ সময় অপরাহ্ন দেড়টায় কমন্স সভায় বৃটেনের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ মন্ত্রী স্যার অ্যালেক ডগলাস হিউমের বাংলাদেশের কমনওয়েলথ ভিত্তিক সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার কথা ছিল। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বাংলাদেশের প্রথম ও অস্থায়ী সরকারের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গত মাসে ইয়াহিয়ার সামরিক জান্তার কারাবাস হতে মুক্তি পাওয়ার পর ঢাকা প্রত্যার্বনের পথে যখন লন্ডন গমন করেন, তখন কমনওয়েলথে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের জন্য স্বয়ং তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন পেশ করে আসছিলেন। প্রসঙ্গক্রমে আরও উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটেন বাংলাদেশকে আনুষ্ঠনিকভাবে স্বীকৃতিদান ঘোষণা করলে জনাব জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বাধীনে পাকিস্তান প্রতিবাদস্বরূপ কমনওয়েলথ ত্যাগ করে। সেই অবধি পাকিস্তান সুদীর্ঘ পঁচিশ বৎসরের ঐতিহ্যবাহী এই উদার প্রতিষ্ঠানটি হতে বাইরে অবস্থান করছে। বি,বি,সি’র সংবাদে আরও জানা গেছে যে, বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের বিষয়টি কমনওয়েলথের অন্যান্য ৩১ টি সদস্যরাষ্ট্র সাদরে অনুমোদন করেছে। কমনওয়েলথের স্বীকৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সন্তোষ প্রকাশ: বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কমনওয়েলথের সদস্যভুক্তির জন্য কমনওয়েথের সেক্রেটারি জেনারেল আর্নল্ড স্মিথের ঘোষণাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আবদুস সামাদ স্বাগত জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, কমনওয়েলথের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের বাস্তবতাই স্বীকৃতি লাভ করে।

রেফারেন্স: ১৮ এপ্রিল ১৯৭২, ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ