পি, ডি, এম-এর জনসভা
জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দ্বারা একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কর্মসূচী সামনে রেখে পি, ডি, এম-এর নেতৃবর্গ। প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভা ও কর্মীসমাবেশে যােগদান করছেন।
ইতিপূর্বে খুলনা, যশাের, সিলেট ও কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত কর্মীসমাবেশ ও জনসভায় নের্তৃবর্গ বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের স্থলে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংঘবদ্ধ আন্দোলন তীব্রতর করার আহ্বান জানান। গত ৮ই জুলাই দিনাজপুরে ও গত ১১ই জুলাই রংপুরে পি, ডি, এম-এর উদ্যোগে দুটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রদেশ সফরের সময় পিডিএম নেতৃবৃন্দ যে সকল জনসভায় বক্তৃতাদান করেন, সেসব জনসভায় নিম্নোক্ত প্রস্তাবসমূহ সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
পিডিএম অভিনন্দিত
পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উদ্যোগে আয়ােজিত এই জনসভা জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আদায়ের উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করার জন্য গঠিত “পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি সাদর অভিনন্দন জ্ঞাপন করছে।
পাকিস্তানের ১২ কোটি মানুষ বর্তমান শাসনব্যবস্থার ফলে যাবতীয় মৌলিক অধিকার থেকে চরমভাবে বঞ্চিত রয়েছে অথচ ভােটাধিকারসহ যাবতীয় মৌলিক অধিকার ছাড়া স্বাধীন দেশের নাগরিকের মর্যাদা লাভ করাও সম্ভব নয়।
এই জনসভা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, দলমত নির্বিশেষ দেশের গণতন্ত্রকামী সকল দলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ব্যতীত এ চরম দুরবস্থা থেকে মুক্তির কোন উপায় নেই। পি. ডি. এম ঐ অপরিহার্য ঐক্যের ব্যবস্থা করায় এই সভা গভীর স্বস্তিবােধ করছে।
গণতন্ত্রকামী ও জনগণের হিতাকাংখী সকল রাজনৈতিক, শ্রমিক, সামাজিক ও ধর্মীয় দলকে এ ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে সাথে পূর্ণ সহযােগিতা করার জন্য এই জনসভা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।
৮-দফা পরিস্থিতি
পি. ডি. এম-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই জনসভা সন্তোষ প্রকাশ করছে যে, পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ৮-দফা সূচীতে দেশে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র কায়েমের সাথে সাথে পূর্ব পাকিস্তানের সার্বজনীন স্বার্বজনীয় স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার বাস্তব কর্মপন্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের দীর্ঘ বঞ্চনার প্রতিকারকল্পে ৮-দফা কর্মসূচী বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে এই সভার বিশ্বাস।
এ ৮-দফা কর্মসূচীর মাধ্যমে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন কায়েম করার জন্য একযােগে আন্দোলন করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হওয়ায় এই জনসভা তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে।
জরুরী অবস্থা পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উদ্যোগে আয়ােজিত এই জনসভা গভীর ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করছে যে, দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি না থাকা সত্ত্বেও সরকার এখনও জরুরী অবস্থা অন্যায়ভাবে বহাল রেখেছে। গত পাক-ভারত যুদ্ধের সময় রাষ্ট্রের দুশমনদেরকে দমন করার জন্য যে প্রতিরক্ষাবিধি জারী করা হয়েছিল, আজ সে আইনবলেই দেশপ্রেমিকদের উপর জুলুম করা হচ্ছে এবং জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে দমন করার জন্য ঐ আইনকেই অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই সভা এইরূপ কর্মনীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছে এবং অবিলম্বে জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করার জোর দাবী জানাচ্ছে। এই সভা আরও দাবী জানাচ্ছে যে, প্রতিরক্ষা আইনবলে রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে এবং পত্রিকা ও প্রেসের বিরুদ্ধে যত প্রকার নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হােক।
রাজবন্দীদের মুক্তি পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই জনসভা রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদেরকে বিনাবিচারে বা প্রতিরক্ষা বিধির অপপ্রয়ােগ করে কারাগারে আবদ্ধ রাখাকে অমানুষিক কাজ বলে ঘােষণা করছে। জনগণের আদায়ের নিয়মতান্ত্রিক সংগ্রামকে দমন করার এই নীতিকে সরকারের কাপুরুষতারই পরিচায়ক বলে এই সভার ধারণা।
এই সভা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবর রহমান, ন্যাপ নেতা হাজী মােহাম্মদ দানেশ ও পাকিস্তান বার কাউন্সিল সদস্য এডভােকেট মােশতাক আহমদসহ সকল রাজবন্দীকে অবিলম্বে মুক্তিদানের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছে।
এই সভা সরকারকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চায় যে, এই ধরনের দমননীতি দ্বারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করা সম্ভব হবে না।
খাদ্যমূল্য
পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উদ্যোগে আয়ােজিত এই জনসভা দেশের বর্তমান খাদ্য পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ করছে। খাদ্যদ্রব্য এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়ােজনীয় জিনিসের মূল্য ক্রয়ক্ষমতার উর্দ্ধে থাকায় গত দেড় বছর থেকে। জনগণকে যে চরম দুর্গতি ভােগ করতে হচ্ছে এই সভা সেজন্য গভীর বেদনা। অনুভব করছে।
এই সভা অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করছে যে, বিভিন্ন মহল থেকে এ ব্যাপারে। সরকারকে যেসব গঠনমূলক পরামর্শ দেয়া হয়েছে সরকার সেসবের প্রতি চরম উপেক্ষা প্রদর্শন করেছেন। কার্যকরীভাবে খাদ্য পরিস্থিতির মােকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও পূর্ব পাকিস্তান সরকার খাদ্য সমস্যার অস্তিত্ব পর্যন্ত স্বীকার না করায় এই সভা বিক্ষোভ প্রকাশ করছে।
এই জনসভা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, গত পাক-ভারত যুদ্ধের সময় আমন ফসলের মওসুম শুরু না হওয়া সত্বেও খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়েনি। সুতরাং যুদ্ধের কিছুদিন পর অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের ভ্রান্তনীতি ও অযােগ্যতাই দায়ী বলে এই সভা মনে করে। খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়ােজনীয় যাবতীয় বস্তুর মূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনয়নের জন্য এই জনসভা সরকারের নিকট জোর দাবী জানচ্ছে।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা
সংবাদপত্রের কণ্ঠরােধ করার উদ্দেশ্যে সরকারের হীন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এই জনসভা প্রচন্ড বিক্ষোভ প্রকাশ করছে। সরকারের অন্যায় নীতি ও কার্যাবলীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং জনগণের দাবী-দাওয়ার পক্ষ সমর্থন করা সংবাদপত্রের পবিত্র দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনকেই সরকার চরম শাস্তির যােগ্য অপরাধ বলে মনে করেন। এই জনসভা সরকারের এই মনােবৃত্তির তীব্র নিন্দা করছে এবং সংবাদপত্রের উপর আরােপিত যাবতীয় জনস্বার্থ বিরােধী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছে।
এই জনসভা দৈনিক ইত্তেফাকের মুদ্রণালয় নিউ নেশন প্রেসকে প্রতিরক্ষা বিধিবলে বাজেয়াপ্ত করার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছে এবং অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছে।
শ্রমিক অধিকার
এই জনসভা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে স্রমিকদের অবদানকে অত্যন্ত গুরুত্বদান করছে। কিন্তু সরকার ও শিল্পপতিগণ শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী-দাওয়া।
পূরণ করে তাদেরকে দেশের উন্নতির উপযুক্তভাবে খেদমত করার সুযােগ দিচ্ছে। বলে এই সভা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
এই সভা সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থার সুপারিশসমূহ মেনে নিয়ে মানবিক অধিকারসমূহ ভােগ করার বেতন, ভাতা, ছুটি, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি ন্যায্য পরিমাণ দেবার জন্য সরকারকে ব্যবস্থা করতে হবে।
ভূমি রাজস্ব নীতি
পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উদ্যোগে আয়ােজিত এই জনসভা সরকারের ভূমিরাজস্ব নীতির তীব্র নিন্দা করছে। পুঁজিপতি শিল্পপতিদেরকে খাজনা থেকে। বিভিন্নভাবে রেহাই দিয়ে গরীব কৃষকদের উপর পর্যন্ত খাজনা চাপিয়ে দেবার বিরুদ্ধে এই সভা তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছে। খাজনা আদায় করার জন্য জনসাধারণের উপর যে নির্যাতন ও জুলুম করা হচ্ছে তাতে এই জনসভা বিক্ষোভ প্রকাশ করছে।
কৃষকদের উপর নতুন করে একর প্রতি পঞ্চাশ পয়সা কর ধার্য করাকে এই সভা চরম জুলুম বলে ঘােষণা করছে এবং এ কর প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছে।
ইসরাইলী বর্বরতা
বৃহৎ শক্তিবর্গের কারসাজিতে সৃষ্ট ইসরাইল রাষ্ট্রের আরব দেশগুলাের উপর জঘন্য হামলা একটা মর্মন্ত ঘটনা বলে এই সভা মনে করে।
পবিত্র শহর জেরুজালেমের পতন এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান বায়তুল মুকাদ্দাস অভিশপ্ত ইহুদীদের হস্তগত হওয়ায় এই সভা গভীর বেদনা অনুভব করছে। পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস ও ফিলিস্তিনের সম্পূর্ণ এলাকা পুনরুদ্ধারের জন্য মুসলিম দেশসমূহের ঐক্যজোট গঠনের উপর এই সভা অত্যন্ত গুরুত্ব আরােপ করছে। এই সভা আরব দেশপুঞ্জকে আশ্বাস দিচ্ছে যে, তারা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বায়তুল মুকাদ্দাসকে উদ্ধার জন্য সর্বাত্মক অভিযান চালান তাহলে পাকিস্তানের জনগণ পূর্ণ সমর্থন ও সহযােগিতা দান করবে।
এই সভা আরব ইসরাইল সংঘর্ষের ব্যাপারে জাতিসংঘের পক্ষপাতমূলক ভূমিকার তীব্র নিন্দা করছে এবং বৃহৎ শক্তিবর্গকে সাবধান করে দিচ্ছে যে, ন্যায়বিচারের পরিবর্তে জুলুমের সহায়ক হিসাবে এ বিশ্ব সংস্থাকে ব্যবহার করে তারা মানবজাতির সাথে দুশমনি করছেন।
এই সভা ইসরাইল কর্তৃক দখলকৃত আরব এলাকা থেকে ইসরাইলকে অপসারিত করার জন্য এবং ইসরাইলকে জঘন্য হামলাকারী বলে ঘােষণা করার জন্য জাতিসংঘের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছে।
আইয়ুব নগর প্রসঙ্গ
এই সভা ঢাকাস্থ দ্বিতীয় রাজধানী শহরের নামকরণের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের জনমন-বিরােধী মনােবৃত্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করছে। কিছুদিন পূর্বে ঢাকা ইমপ্রােভমেন্ট ট্রাষ্ট কর্তৃক দ্বিতীয় রাজধানীর নাম “আইয়ুব নগর” রাখার সিদ্ধান্ত ঘােষণার বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকায় তীব্র প্রতিবাদ হওয়া সত্বেও জনৈক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কর্তৃক সে নাম রাখার খবর প্রকাশ করায় এই সভা বিস্ময় প্রকাশ করছে। পূর্ব পাকিস্তানের দাবী অনুযায়ীই এ নামকরণ করা হয়েছে বলে প্রচার করে মন্ত্রীমহােদয় প্রদেশবাসীকে যে বিদ্রুপ করেছেন, এই সভা তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে।
এই সভা প্রেসিডেন্ট আইয়ুবকে জানিয়ে দিচ্ছে যে, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যারা তাঁর নামকে ব্যবহার করছেন, তারাই তাঁর দুর্নাম বৃদ্ধি করে চলেছেন।
এই সভা কর্তৃপক্ষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, পাকিস্তানে যখন কায়েদে আযমের নামেও কোন শহরের নামকরণ করা হয়নি তখন প্রেসিডেন্ট আইয়ুবের নামে এইরূপ নামকরণ ধৃষ্টতারই পরিচায়ক।
পােষ্টার ও শ্লোগান
পি. ডি. এম নেতৃবৃন্দের সফরকালে বিভিন্ন স্থানে নিম্নলিখিত পােষ্টার স্লোগান। দেয়া হয়-
১. আট-দফা মানতে হবে, ২। গণতন্ত্র কায়েম কর, ৩। আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন—দিতে হবে, ৪। মৌলিক অধিকার—বহাল কর, ৫। সার্বজনীন ভােটাধিকার ফিরিয়ে দাও, ৬। এক নায়কত্ব—মানব না, ৭। একশ চুয়াল্লিশ ধারা—তুলতে হবে, ৮। আঞ্চলিক বৈষম্য দূর কর, ৯। রাজবন্দীদের মুক্তি চাই, ১০। সংবাদ-স্বাধীনতা বহাল কর, ১১। জরুরী আইন-প্রত্যাহার কর, ১২। খাদ্যমূল্য–কমাতে হবে, ১৩। নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যের উচ্চমূল্য—রােধ। কর, ১৪। শ্রমিকদের দাবী-মানতে হবে, ১৫। পাটের দাম বাড়াতে হবে।
জাতীয় পরিষদের সদস্য জনাব মশিহুর রহমান মাদারে মিল্লাতের ইন্তেকালে গভীর মর্মাহত হয়েছেন।
জাতীয় পরিষদে বিরােধী দলীয় ডেপুটি নেতা শাহ আজিজুর রহমান বলেন যে, অদৃষ্টের অদৃশ্য হাত আমাদের মধ্য থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন ও মানবিক অধিকারের মহান আলােকবর্তিকাবাহীকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
দৈনিক পূর্বদেশ, ১৬ জুলাই ১৯৬৭