You dont have javascript enabled! Please enable it!

পিণ্ডিতে গভর্নর মােনায়েম খানের স্পষ্টোক্তি রাজবন্দীদের মুক্তি হইবে না

রাওয়ালপিন্ডি, ২৭ শে আগস্ট।-প্রাদেশিক গবর্ণর জনাব আবদুল মােনায়েম খান এখানকার পূর্ব পাকিস্তান হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানে আটক রাজবন্দীদের মুক্তি দেওয়া হইবে না। জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের বৈঠকে যােগদানের জন্য তিনি এখানে আগমন করেন।
তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে এখন মাত্র ৪ শত রাজবন্দী রহিয়াছেন। ইহাদের মধ্যে নিরাপত্তা আইনে আটক রহিয়াছেন ১২ জন।
গবর্ণর বলেন, তথাকথিত গণতন্ত্রীদের শাসনামলে নিরাপত্তা আইনে আটক ব্যক্তিদের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২ শত ১৪ জন। জনাব আবু হােসেন সরকারের সময় এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫৬ জন।
তিনি বলেন, রাজবন্দীদের মামলা আদালতে বিচারাধীন বিধায় সরকার তাহাদের মুক্তির বিষয় চিন্তা করিতেছেন না।

নিবর্তনমূলক বিধি ও স্বাভাবিক আইন থাকা সত্ত্বেও কেন পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনে গ্রেফতার করা হইতেছে প্রশ্ন করা হইলে গণ বলেন যে, যে সকল ব্যক্তি রাষ্ট্রবিরােধী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন তাহাদিগকেই পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনে। গ্রেফতার করা হইয়াছে।
শেখ মুজিবর রহমানের আটক সম্পর্কে তিনি বলেন যে, আদালত এই সম্পর্কিত ব্যবস্থাকে ন্যায়সঙ্গত বলিয়া বা দান করিয়াছেন।
জনসাধারণকে মৌলিক অধিকার বঞ্চিত করিয়া রাজনৈতিক কার্যকলাপ দমন করার জন্য জরুরী অবস্থা বলবৎ রাখা হইয়াwে শালা বিরোধী দলসমূহ যে। অভিযােগ করিয়াছে, গবর্ণর তাহা প্রত্যাখ্যান করেন। গণ ইহাকে ‘ডাহা মিথ্যা’ বলিয়া অভিহিত করেন। পাকিস্তান টাইমস।
অপরাপর প্রস্তাবে মুক্তাগাছা থানায় পূর্ণাঙ্গ রেশনিং প্রথা প্রবর্তন এবং দরিদ্র শ্রেণীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সরকারী সাহায্য প্রদানে দাণী, ২০ টাকা মণদরে চাউল ও ১০ টাকা মণদরে আটা সরবরাহের দাবী, পাটের নিতম মূল্য ৪০ টাকা। ধার্যের দাবী, ৬-দফার প্রতি পূর্ণ সমর্থন, ইত্তেফাক এর পুনঃপ্রকাশ দাবী, জরুরী আইন প্রত্যাহার এবং জনগণের বিধি সমস্যা ইয়া ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়িয়া। তােলার আহ্বান জানানাে হয়।
সভায় শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি খােন্দকার আবদুল মালেক শহীদুল্লা সভাপতিত্ব করেন।-সংবাদদাতা

আজাদ, ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!