শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের জন্য কমনওয়েলথ কল্যাণকর
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আবদুস সামাদ গতকাল সোমবার ঘোষণা করেন যে, বাংলাদেশ সরকার দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করেন, কমনওয়েলথ পরিবারে সদস্যভূক্তি মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশের। জনগণই উপকৃত হবে না, বরং বিশ্বের জন্য তা কল্যাণ জনক হবে। কমনওয়েলথে বাংলাদেশের সদস্যভূক্তির জন্য বাংলাদেশ সমিতির এ্যাডহক কমিটির উদ্যেগে আয়োজিত স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সম্বর্ধনা সভায় প্রধান অথিতির ভাষণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপরোক্ত মন্তব্য করেন। সম্বর্ধনা সভায় আরও যারা বক্তৃতা করেন তারা হলেন, বৃটিশ হাই কমিশনার মি. এ গোন্ডস, ভারতীয় হাই কমিশনার মি, সুবিমল দত্ত ও অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার মি. জেমস এ্যলেন। এতদ্ব্যতীত যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা হলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব এম, আর, সিদ্দিকী, খাদ্যমন্ত্রী মি. ফণী ভূষণ মজুমদার, আইন মন্ত্রী ডা. কামাল হোসেন, যোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মনসুর আলী, ডাক ও টেলিগ্রাফ মন্ত্রী মোল্লা জালাল উদ্দীন, এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনের জনগণ। জনাব সামাদ বলেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং জাতি সমূহের মধ্যে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কমনওয়েলথ যাতে করে বৃহত্তম ভূমিকা পালন করে অগ্রসর হতে পারে, সে জন্য বাংলাদেশ সব সময় প্রচেষ্ট চালাবে। কমনওয়েলথভুক্ত জাতিসমূহের মধ্যকার বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আরও সমৃদ্ধ ও প্রগতি স্বাধনের পথ প্রশস্ত করবে বলে। তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি কমনওয়েলথের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বৃটেনের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বৃটেন তাঁর বহু উপনিবেশের স্বেচ্ছায় জনসাধারণের প্রতিনিধিদের নিকট ক্ষমতা ও শাসনভার প্রত্যার্পণ করেছেন। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহের ইতিহাসে এটা একটি অসাধারণ ঘটনা। জনাব সামাদ বলেন, কমনওয়েলথ সদস্য থাকার বিষয়টিকে বাংলাদেশ মূল্য দিয়ে থাকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান যুগে কোনো জাতিই একাকীত্বের মধ্যে টিকে থাকতে পারে না।
রেফারেন্স: ২৪ এপ্রিল ১৯৭২, দৈনিক ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ