মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য ৬ কোটি টাকা তাকাভী ঋণ মঞ্জুর
সরকার কৃষকদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৬ কোটি টাকা তাকাতী ঋণ মঞ্জুর করেছিলেন। গবাদী পশু বীজ ক্রয় ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যয়ের জন্য এই ঋণ দেয়া হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবার এ ঋণ পাবে এবং পরিবার প্রতি ২শত টাকা করে দেয়া হবে। কো-অপারেটিভের অন্তর্গত কৃষকদের জন্য সরকার আরো চার কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করেছেন। অবশ্য তারা তাকাভী ঋণ পাবেন না। জেলা ভিত্তিতে তাকাভী ঋণের টাকা দেয়া হবে। যথা- ঢাকা জেলা ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, কিশোরগঞ্জ ২৬ লাখ ৯ হাজার, ময়মনসিংহ ৩৭ লক্ষ ১৭ হাজার, টাঙ্গাইল ১৭ লাখ ৭৪ হাজার, ফরিদপুর ৩২ লাখ ৩৭ হাজার, চট্টগ্রাম ২১ লাখ ৯৬ হাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ৪ লাখ, নোয়াখালি ২৯ লাখ ৩০ হাজার, কুমিল্লা ৩৪ লাখ ৮৬ হাজার, সিলেট ৪৬ লাখ ৪ হাজার, রাজশাহী ৪৭ লাখ ৬ হাজার, দিনাজপুর ৩৬ লাখ ৫৭ হাজার, রংপুর ৪৩ লাখ ৬ হাজার, বগুড়া ২০ লাখ ৫৬ হাজার, পাবনা ২৫ লাখ ৫৪ হাজার, খুলনা ৩২ লাখ ৪৩ হাজার, বাকেরগঞ্জ ৩০ লাখ ৫৬ হাজার, পটুয়াখালি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার, যশোর ৩৬ লাখ হাজার এবং কুষ্টিয়া ২৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এইসব টাকা মহকুমা ভিত্তিতে বাটোয়ারা করা হয়েছে এবং সত্বর থানা ভিত্তিক করার জন্য মহকুমা অফিসারদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঋণের টাকা সঠিকভাবে বিতরণের নিশ্চয়তার জন্য জেলা ও মহকুমা কর্তৃপক্ষের কাছে কৃষি দফতর থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবং কৃষক ও গণপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে থানা ও ইউনিয়নের কৃষি উন্নয়নের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইউনিয়নের কৃষি উন্নয়ন কমিটি প্রণীত তালিকার ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্থ শস্য গবাদি পশু কৃষি যন্ত্রপাতি প্রভৃতির ভিত্তিতে তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব কৃষক পরিবার কৃষি যন্ত্রপাতি, হালের বলদ, বীজ প্রভৃতি ক্রয়ের ক্ষমতা হারিয়েছে তাদেরকে তাকাভী ঋণ দেয়া হবে। থানা কৃষি অফিসার ইউনিয়ন ভিত্তিতে এ টাকা বিতরণ করেন এবং প্রকাশ্য স্থানে জনসম্মুখে তা বিতরণ করতে হবে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, যুদ্ধকালীন জরুরিভিত্তিতে কাল বিলম্ব না করে এ টাকা বিতরণ করতে হবে। বাসস এ খবর দিয়েছে।
রেফারেন্স: ২১ মার্চ ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ