স্থায়ী শান্তি ও সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করবে- ইন্দিরা গান্ধী
নয়াদিল্লি। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী আজ আশা প্রকাশ করেছেন যে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঢাকার স্বাক্ষরিত বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ও শান্তি চুক্তি কেবলমাত্র দু’দেশের মধ্যেই নয় বরঞ্চ সারা উপমহাদেশে তথা সমগ্র অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি আর সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করবে। আজ লোকসভায় ঢাকায় স্বাক্ষরিত চুক্তি ও যুক্ত ঘোষণায় পূর্ণ বিবরণী উপস্থাপনকালে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। লোকসভায় সদস্যবৃন্দ বিপুল হর্ষধ্বনি সহকারে তাঁর বিবৃতিকে অভিনন্দিত করে। শ্রীমতি গান্ধী বলেন, শান্তি চুক্তি ও যুক্ত ঘোষণা ভারত ও বাংলাদেশকে তাদের ভবিষ্যৎ শান্তি সৎপ্রতিবেশীসুলভতা ও দুদেশের জনকল্যাণমূলক ও সন্ধানী পথের দিশারী হবে। পরবর্তী অপর এক খবরে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী আজ রাজ্যসভায় ঘোষণা করেছেন যে, যত বড় শক্তিই হউক না কেন ভারত কোনো শক্তির কাছেই তার মাথা নোয়বে না এবং সে তার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখবে, জাতীয় গৌরব সমুন্নত রাখবে। তিনি প্রেসিডেন্টের ভাষণ সম্পর্কিত বিতর্কের জবাব দিচ্ছিলেন। শ্রীমতি গান্ধী আরো বলেন, কতিপয় দেশ ভারতের প্রতি সব সময়েই বন্ধুভাবাপন্ন না হলেও আমাদের বন্ধু মহল থেকে কাউকেই আমরা বাদ দিচ্ছি না। প্রতিদিনই নয়া সুযোগ বয়ে আনতে পারে বলে আমরা মনে করি এবং উদ্যোগও নিয়েছি। আমরা আন্তরিকভাবেই সঠিক সাড়া আশা করি। শ্রীমতি গান্ধী তার অর্ধ ঘণ্টাকাল বক্তৃতাকালে সাম্প্রতিক নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্ত বিরোধী দলগুলোর প্রতি জনগণের রায় মেনে নেবার আবেদন জানান। তিনি পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট পার্টি পরিষদ বয়কটের কথাবার্তার নিন্দা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর জবাবের পর প্রেসিডেন্টের ভাষণ সম্পর্কে সর্বসম্মতিক্রমে অভিনন্দন জ্ঞাপনমূলক এক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
রেফারেন্স: ২০ মার্চ ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ